বাংলাদেশে যারাই হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করবে, তারা দেশের ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
তাদের দাবি, বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলা করে। কিন্তু সম্প্রতি ভারতীয় কিছু মিডিয়ার সঙ্গে মিলে দেশীয় কিছু মিডিয়াও দেশে একটা বিভাজন তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশকে অশান্ত করতে চাচ্ছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত শোক ও সম্প্রীতি সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে আমরা হিন্দু মুসলিম একত্রে লড়েছি। হিন্দু-মুসলিম নিয়ে কোনো ধরনের খেলা খেলবেন না। যারাই খেলতে আসবেন, তারা দেশের ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাবেন। দেশের জনগণ আপনাদের শক্ত হাতে দমন করবে।
রাকিব হাসান নামে এক নেতা বলেন, সাইফুল ইসলামের হত্যাকাণ্ড নিয়ে মিডিয়াগুলো উসকানিমূলক বার্তা প্রচারণা করছে। আমরা অনুরোধ করবো আপনারা এসব বিভাজনের খেলা বন্ধ করুন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনারা যে পরিকল্পনা করছেন, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক সেটি মেনে নেবে না। বাংলাদেশের ছাত্র-সমাজ এখনও ঘরে ফিরে যায়নি। যে কোনো ষড়যন্ত্র আমরা জীবন দিয়ে হলেও মোকাবিলা করবো।
বক্তারা বলেন, ভারতে বসে বাংলাদেশের পরিবেশকে অশান্ত করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চাচ্ছেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। তার নির্দেশনায় ইসকনসহ উগ্রবাদী কিছু সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে ভারতীয় মিডিয়াগুলোর পাশাপাশি দেখছি রয়টার্সও যোগ দিয়েছে।
তারা বলেন, যে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে ভারতের দালাল। সে এতোদিন হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে ভারতের হয়ে কাজ করেছে। আমরা তার যথাযথ বিচার চাই। সেইসঙ্গে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ চাই।