কংকনা রায়, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :দেশ ব্যাপী এখন ব্যাপক চাহিদা দেখা দিয়েছে রঙিন বাঁধা কপির। রঙিন এই কপির চাহিদা দেখে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কৃষি অফিসের সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো রঙ্গিন রুবি কিং জাতের বাঁধা কপি চাষ করেন উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের ডাঙ্গা গ্রামের কপি চাষি মিলন রানা। পরীক্ষামূলক প্রথম চাষেই যেনো বাজিমাত।
চাষি মিলন রানার দাবি কপি চাষে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে তার দ্বিগুণ অর্থ লাভ হবে। আর এই দেখে রঙিন কপি চাষে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করছেন অন্যান্য কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতা ও তদারকিতে দিনাজপুর অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পের অধিন প্রথম বারের মতো পরীক্ষা মূলকভাবে রঙ্গিন রুবি কিং জাতের বাঁধা কপি চাষ করেছেন ডাঙ্গা গ্রামের কপি চাষি মিলন রানা। এতে আশানুরুপ সাফল্য পাওয়ায় তার দেখে রুবি কিং জাতের রঙ্গিন বাঁধা কপি চাষে এলাকার অন্যান্য চাষিরাও আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
রুবি কিং জাতের রঙ্গিন বাঁধা কপি চাষি মিলন রানা বলেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতা ও কারিগরি পরামর্শে ২০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে রুবি কিং জাতের রঙ্গিন বাঁধা কপি চাষ শুরু করেছেন। এতে কৃষি বিভাগ থেকে ৭৫০ টি রুবি কিং জাতের রঙ্গিন বাঁধা কপির চারা, কেঁচো সার, ফেরোফিন ফাঁদ, জৈব বালাই নাশক ও জৈব স্প্রে মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে অর্গানিক পদ্ধতিতে এই রুবি কিং জাতের রঙ্গিন বাঁধা কপি চাষ শুরু করেন। এতে মাত্র ৮০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যেই বাঁধা কপি পরিপক্ক হয়ে বিক্রির উপযোগী হয়। কপিগুলো রঙ্গিন হওয়ায় দেখতে আরো সুন্দর ও হালকা মিষ্টি সাদ রয়েছে। ইতোমধ্যেই তার উৎপাদিত রুবি কিং জাতের রঙ্গিন বাঁধা কপি বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেছেন। বাজারে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে এর কিছু কম দামে বিক্রি করলেও তার আশানুরুপ লাভ হবে। তবে এই কপি চাষে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে তার দ্বিগুণ অর্থ লাভ হবে বলে আশা করছেন তিনি।
খয়েরবাড়ী গ্রামের কৃষক প্রদীপ কুমার বলেন, মিলন রানার রুবি কিং জাতের রঙ্গিন বাঁধা কপি চাষে ফলন ও লাভ দুটোই ভালো হয়েছে। এজন্য আগামীতে তিনিও এ জাতের কপি চাষ করবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মন আক্তার বলেন, কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শে ফুলবাড়ী উপজেলায় প্রথম বারের মতো রুবি কিং জাতের রঙ্গিন বাঁধা কপি পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হচ্ছে। এজন্য কৃষি বিভাগ থেকে উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের ডাঙ্গা গ্রামের কৃষক মিলন রানার ২০ শতাংশ জমিতে এ কপি চাষের মাধ্যমে ব্যাপক সাফল্য এসেছে। এতে অন্যান্য কৃষকও আগামীতে এ জাতের বাঁধা কপি চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন। ফলে আগামীতে উপজেলায় ব্যাপক আকারে এ জাতের কপি চাষাবাদ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ কপি মরণব্যাধী ক্যান্সারসহ বেশ কয়েকটি রোগ প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করবে। এতে কোনো প্রকার চর্বি জাতীয় উপাদান নেই। এটি মানুষের শরীরের জন্য উপযোগী একটি সবজি।