রাজপথে থেকে সকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেবে আ.লীগ- মির্জা আজম এমপি
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন, ‘বিএনপির লক্ষ্য এখন আগামী অক্টোবরের মধ্যে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা। আজ থেকে আগামী ৪৫ দিন । এই ৪৫ দিন রাজপথে থেকে তাদের সকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেবে আওয়ামী লীগ।’
শুক্রবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফি। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।মির্জা আজম বলেন, ‘বিএনপি ঘোষণা দিয়েছিল ১০ ডিসেম্বরের প র খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে। বিভিন্ন সময় তারা বিভিন্ন ঘোষণা দেয় কিন্তু কখনো বাস্তবায়ন করতে পারে না। কারণ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঢাকাসহ সারাদেশের রাজপথ দখল করে রেখেছে। এখন তাদের লক্ষ্য আগামী অক্টোবর। এর মধ্যেই শেখ হাসিনাকে তারা ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণা দিয়েছে। অক্টোবর শেষ হতে আর ৪৫ দিন বাকি আছে। তাদের সকল কর্মসূচি আওয়ামী লীগ ব্যর্থ করে দেবে। এই ষড়যন্ত্রকারীরা যে কোনোভাবে সরকারের ওপর আঘাত হানতে পারে। আমরাও আগামী ৪৫ দিন আওয়ামী লীগের সকল কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেব। আমরাই সফল হব। তারা ব্যর্থ হবে। কিন্তু কোনোভাবে তারা যদি সফল হয় তবে আবার পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশের ধ্বংসের রাজনীতি শুরু করবে।’
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এর পরিণতি কী হবে তা তুলে ধরে মির্জা আজম বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এরপর যারা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একে একে হত্যা করা হয়। কাউকে ফায়ারিং স্কোয়াডে, কাউকে আবার ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে। আওয়ামী লীগের যারা গভর্নর ছিল, জেলা নেতা ছিল, এমপি ছিল তাদের কা রাগারে বন্দী করা হয়। যারা দেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিল সেই রাজাকার, আলবদর, আলশামস তাদের কারগার থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে এসব যুদ্ধাপরাধীর জায়গা করে দেওয়া হয়েছিল। খুনিদের পুরষ্কৃত করার চিত্র আমরা দেখেছি।’
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, বাংলাদেশ আওয়ামী যু বলীগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফজলে শামস পরশ, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, আওয়ামী যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, নুরুল আমিন রুহুল এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোরশেদ হোসেন কামাল, মিরাজ হোসেন, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক আখতার হোসেন, গোলাম সারওয়ার কবির, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিন ভূঁইয়া, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান, সদস্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনউদ্দিন রানা, মহানগর উত্তর আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইস মাইল হোসেন।