রাজশাহীতে বিচারের মীমাংসার সময় বিএনপির এক নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের ভদ্রা এলাকায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান মন্টুর ওপর এ হামলা হয়। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ জানান, বিএনপি নেতা মন্টুসহ ২০-২৫ জন দুপুরে রেললাইনের পাশে চায়ের দোকানে বসে কোনো একটা বিষয়ের আপস-মীমাংসার ব্যাপারে আলোচনা করছিলেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের বসচার সময় কেউ একজন তাঁকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।
ওসি মাসুদ বলেন, ‘ঘটনাস্থল রেলওয়ে থানার ভেতরে। রেলওয়ে থানার পুলিশকে জানানো হয়েছে। আমাদের কাছেও যদি কেউ অভিযোগ করে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে, সে ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, ‘মন্টুর পেটে ও কপালে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। বেলা পৌনে ২টা নাগাদ তাঁকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। জরুরি বিভাগ থেকে তাঁকে সার্জারি বিভাগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। আপাতত তিনি শঙ্কামুক্ত। তবে বিভাগীয় প্রধানের তত্ত্বাবধানে তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে চিকিৎসাধীন বজলুর রহমান মন্টুর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা বলেন, ‘কে বা কারা কেন ছুরিকাঘাত করেছে, সেটা বলতে পারব না। এটা মন্টুর কাছ থেকেই শুনতে হবে। এ ব্যাপারে পুলিশও খোঁজখবর নিচ্ছে।’