মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আন্দোলন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা বাধা দেয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বঙ্গবন্ধু হলে আগুন দিয়েছেন। এতে হলের ভিতরে আটক আছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীরা সবাই একজোট হলে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয় ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ হিল গালিব সহ সকল নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলে বাধা পেয়ে শিক্ষার্থীরা রাগান্বিত হয়ে সবাই একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ঢুকে তারা ব্যাপক ভাঙচুর চালান। এ সময় হলের ভেতরে থাকা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অন্তত ১০টি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।
এর আগে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে কয়েকশ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের তালা ভেঙে ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করেন। ছাত্রীরাও হলের তালা ভেঙে হাতে লাঠি নিয়ে মিছিলে যোগ দেন।
একপর্যায়ে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। এক পর্যায়ে হলে ঢুকে ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষ ভাঙচুর এবং মোটরসাইকেলে আগুন দেন কিছু শিক্ষার্থী। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যান বলে জানান কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী।
এই দিকে রাজশাহী কুমার পাড়ায় আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে যুব লীগ, শ্রমিকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ মিছিল করে হাতে লাঠি ও লোহার পাইপ নিয়ে রাস্তায় মহড়া দেন। সাথে সকল সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষদের ছবি বা ভিডিও নিতে বাধা প্রয়োগ করে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়ার সহযোগিতা করে বোয়ালিয়া মডেল থানার পুলিশ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, আমরা ক্যাম্পাস শান্ত রাখতে চেয়েছিলাম। আমরা নানাভাবে নানা সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আজকে তারা তাদের প্রোগ্রাম করবে আমরা কোনো বাধা দেব না, ছাত্রলীগও কোনো বাধা দেবে না। পুলিশ, প্রক্টর, শিক্ষক সবাইকে আমরা এই অনুরোধ রেখেছি। তারপরও বঙ্গবন্ধু হলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা তদন্ত করে সেটা বের করব। আমরা চেয়েছিলাম তাদের আন্দোলনটা শান্তশিষ্টভাবে হোক। একটা হলে আগুন দেওয়া বা জানমালের ক্ষতি করা এটা কোনোভাবে মেনে নিতে পারি না।