অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, হঠকারিতা, নেতিবাচকতা ও ভাঙ্গনের মানসিকতা থেকে বের হয়ে আমাদের সৃজনশীল ও ইতিবাচক মানসিকতায় এ রাষ্ট্রকে গড়তে হবে। এ রাষ্ট্র পরিগঠন করলেই কেবল জুলাই শহিদানসহ শহিদ আলিফের শাহাদাত অর্থবহ হয়ে উঠবে।
তিনি আজ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে একথা বলেন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম (৩৫)কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার প্রেক্ষাপটে উপদেষ্টা এ পোস্ট দিলেন।
আজ চট্টগ্রাম নগরীতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের দু’দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নিতে কোর্ট বিল্ডিং চত্বর ও জমিয়তুল ফালাহ প্রাঙ্গণে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে।
পোস্টে তিনি ছাত্র জনতাকে অভিবাদন জানিয়ে বলেন, দায়িত্ব ও দরদের নজির দেখিয়ে আপনারা বাংলাদেশকে গর্বিত করেছেন। বাংলাদেশ আর কারো ষড়যন্ত্রের সামনে পরাস্ত হবে না। ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, 'আমাদের ব্যক্তি ও সমষ্টির 'শক্তি' সাধনায় দরদি ও দায়িত্ববান হয়ে রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হয়ে ওঠা মোক্ষ। আমাদের এ অভ্যন্তরীণ শক্তি যেকোন বহি:শত্রুকে পর্যুদস্ত
করবে। আমরা আর ঈড়ষড়হরুধনব (উপনিবেশযোগ্য) হবো না।'
দেশের 'প্রাজ্ঞ আলেম ও মুসলিম নেতৃবৃন্দের' 'বিশেষ ধন্যবাদ' প্রাপ্য উল্লেখ করে মাহফুজ আলম লিখেছেন, 'আপনারা এ গণ অভ্যুত্থানের পক্ষে বাঙ্গালি মুসলমানকে দায়িত্বশীল আচরণে অনুপ্রাণিত করেছেন। ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সমান অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে আপনাদের আজ ও আগামীর প্রাজ্ঞ উদ্যোগ বাংলাদেশ রাষ্ট্রে আপনাদের ইজ্জত ও শরিকানা নিশ্চিত করবে।'
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে মাহফুজ আলম লিখেছিলেন, সরকার দ্রুতই সব রাষ্ট্রদ্রোহী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।'
গণ-অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে তিনি সকলকে শান্ত থাকার এবং নিরীহ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম জালাল উদ্দিন। ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন সাইফুল। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।