বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শুরু থেকেই সমর্থন জানিয়ে প্রতিবাদ করেছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। রাজপথে না নামলেও ফেসবুকে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলেছেন এই নির্মাতা। পরবর্তীতে সরকার পতনের একদফা দাবিতেও সংহতি জানিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে নানাভাবে যেসব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তাদের চিকিৎসায় একটি ফান্ড গঠনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ফারুকী। আজ বুধবার (২১ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
পাঠকদের জন্য ফারুকীর পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—
‘জুলাই বিপ্লবে হতাহতদের চিকিৎসার জন্য ফাউন্ডেশন গঠন একটা গ্রেট ইনিশিয়েটিভ। এটা আরও সিগনিফিক্যান্ট, কারণ এর প্রধান প্রফেসর ইউনুস নিজে। আমরা কখনোই আমাদের নায়ককে ভুলব না।
মনে রাখতে হবে, এটা সাধারণ একটা সরকার পরিবর্তনের লড়াই ছিল না। এটা ছিল নাজিবাহিনীর মতো ভয়াবহ অমানবিক একটা ফ্যাসিস্ট রেজিমের বিরুদ্ধে লড়াই। ব্যর্থ হলে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বিকল্প রাখত না এই নৃশংস এবং খুনি রেজিম।
এই প্রসঙ্গে আরেকটা কথা বলে রাখতে চাই― সরকার ভালো হয়, খারাপও হয়। সেটা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেক আলোচনাও হতে পারে। কিন্তু সরকার ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠা জাতির জন্য সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য।
এখন আইন বিশেষজ্ঞদের খতিয়ে দেখা দরকার দেশের কী কী করণীয় আছে শাস্তি এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা প্রসঙ্গে; যাতে আর কেউ এ রকম ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে না পারে। হিটলারের পতনের পর জার্মানরা কী কী করেছিল, এগুলো গবেষণা করে দেখা যেতে পারে।’