মোস্তাকিম রুবেল শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শিবগঞ্জে এক নারীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মারপিটে আহত এক যুবক মারা গেছেন। বুধবার দিনগত রাত ১ টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে তাকে মারপিট করা হয়। মৃত যুবকের নাম পারভেজ মিয়া(১৮)। তিনি গাংনগর মাঝপাড়া গ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন বলে জানা গেছে। মৃত পারভেজ মিয়ার চাচাতো ভাই রুবেল মিয়া জানান, পারভেজের মোবাইল নাম্বার দিয়ে এক প্রবাসী ফেসবুক আইডি খুলে বিহারের এক মেয়েকে উত্যক্ত করছিলো। ঐ মেয়ের ভাই সোহেল মিয়া খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ফেসবুক আইডিটি পারভেজের মোবাইল নাম্বার দিয়ে খোলা। পরে শুক্রবার পারভেজকে ফোনে মহাস্থান জাদুঘর এলাকায় ডেকে নেয় সোহেল।
সেখান থেকে বেশ কয়েকজন মিলে সোহেলকে জোর পূর্বক বিহার গ্রামের ফসলের মাঠে সেচ পাম্পের ঘরের মধ্যে বেঁধে রাখে। এসময় রড ও বাটাম দিয়ে উপর্যুপরি মারধর করে তারা। মারধরের পর শিবগঞ্জ থানায় ইভটিজিংয়ের অভিযোগ দেয় সোহেল। রুবেল আরও জানান, পুলিশ এসে আমাদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে পারভেজ কে ছেড়ে দেয়। তখন আহত অবস্থায় প্রথমে টিএমএসএস হাসপাতাল ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পারভেজকে। সেখানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দিনগতরাত ১ টার দিকে মারা যায় পারভেজ।
অভিযুক্ত সোহেল মিয়া বিহার ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বলে নিশ্চিত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম। মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোরশেদুল আলম জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ জানান, পারভেজের নামে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ কেউ দিয়েছিলো বলে জানা নাই। পুলিশ টাকা নিয়েছে এ কথাটি সত্য নয়।