বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পিকনিকে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। যা গড়িয়েছে মামলায়। সমিতির সদস্য নিশু তার মেয়েকে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন কয়েক জনের বিরুদ্ধে। সমিতি বরাবর অভিযোগ জানানোর একদিন পার হয়ে গেলেও সমাধান না পেয়ে মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এই শিল্পী।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক কিশোরীর সঙ্গে অকথ্য ভাষায় কথা বলছেন একজন। এরপরই পরিস্থিতি মোড় নেয় ঝগড়ায়। দুইজনের বাকবিতণ্ডায় শেষ পযন্ত ঝগড়া পৌঁছায় হাতাহাতিতে। এতে এফডিসিতে থাকা শিল্পী সমিতির পিকনিকে উপস্থিতরা ঝগড়া ও হাতাহাতি ঠেকাতে এগিয়ে আসেন।
মামলার বিষয়ে নিশু বলেন, ‘আমি শিল্পী সমিতিকে সেদিনের ঘটনা অবগত করেছি। এ নিয়ে নিপুণকে ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। শাহনূর ও জেসমিন আমাকে কল করেছিল। তারা বলেছিলেন আমরা দেখতেছি। তারপর আর খবর নেই। একদিন পার হয়ে গেছে। নিপুণ একটি বার ফোন করতে পারত কিন্তু করেনি। এটা আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। তাই বিচার চেয়ে মামলা করেছি। এ নিয়ে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সংবাদ সম্মেলন করব তখনই বিস্তারিত বলব। আজ আমি ঈদের একটি নাটকের শুটিংয়ে ব্যস্ত আছি যে, কারণে কথা বলতে পারছি না।’
আক্ষেপ করে এই শিল্পী বলেন, ঘটনা ঘটার একদিন পার হয়ে গেলেও কেউ আমাকে সহযোগিতা করেনি। মামলা করার পর সবাই এখন সহযোগিতা করতে চাচ্ছে। আমি এখন আর তাদের সহযোগিতা নেব না। শিল্পী সমিতি আমাকে সহযোগিতা করেনি।
কোন থানায় এবং কার কার নামে মামলা করেছেন তা আগাম জানাতে চায়নি এই শিল্পী। সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে ভাইরাল ভিডিওতে নিশুকে বলতে শোনা যায়, আমার বাচ্চা এমন একটি জায়গায় অসম্মানিত হবে সেটি আসলে মেনে নেয়া যায় না। আমার মনে হয় না শিল্পী সমিতি এ বিষয়ে কোন উদ্যোগ নিবে। আমার সিনেমা দরকার নেই, আমার বাচ্চা আগে। আমি ভুলে যাব আমার সিনেমার ক্যারিয়ারের ২২ বছর। শিল্পী সমিতির কাছে আমার কোন প্রত্যাশাই নেই। কারণ ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আমি নিপুণকে কল দিলাম কিন্তু সে কল ধরল না।