শেখ কামালের জন্মবার্ষিকীতে কাজিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
লিমন খান, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে
দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৫ জুলাই) দুপুর ১২ টায় শেখ কামালের জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগে কার্যালয়ে দোয়া ও আলোচনা সভায়। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় সিরাজগঞ্জ-১ কাজিপুর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি জয় বলেন, শেখ কামাল বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি অঙ্গনের শিক্ষার অন্যতম উৎসমুখ ‘ছায়ানট’-এর সেতার বাদন বিভাগের ছাত্র ছিলেন।তিনি শুধু উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠন, বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতাই ছিলেন না, ছিলেন ঢাকা থিয়েটারেরও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। শৈশব থেকে খেলাধুলায়ও প্রবল উৎসাহ ছিল তার। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন্ড লাভ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।স্বাধীনতার পর শেখ কামাল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এবং শাহাদাত বরণের সময় বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠন জাতীয় ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার নির্মম ঘটনায় মাত্র ২৬ বছর বয়সে শাহাদাতবরণ করেন তিনি।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী, যুবলীগের সভাপতি বিপ্লব সরকার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বেলায়েত উল শাওন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম কৃষক, লীগের সভাপতি দীন মোহাম্মদ বাবলু প্রমখসহ উপজেলা আওয়ামী ল যুবলীগ কৃষক লী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এতে অংশ নেন।
এর আগে বঙ্গবন্ধু সহ ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। শেষে শেখ কামালের মুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।