স্টাফ রিপোর্টার ঃ- শেরপুরে অবরোধে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৬ । বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলের ডাকা পঞ্চম দফার অবরোধে প্রথম দিনে বগুড়ার শেরপুরে বিএনপি-আওয়ামীলীগের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য রয়েছেন। আজ বুধবার বেলা সড়ে ১১ টার দিকে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি জি এম সিরাজের নেতৃত্বে একটি মিছিল উপজেলার হাসপাতাল রোডের মোড়ে ও পিছনদিক থেকে আওয়ামীলীগের একটি মিছিল আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয় ।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা, এসআই হাসান, কনস্টেবল মো. শামীম, মো. রেজাউল, মো. আলফাজ, সাংবাদিক হিরা ও জাতীয় শ্রমিক লীগ শেরপুর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাজেদুল ইসলাম, সুঘাট ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সীমাবাড়ি ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি কামাল হোসেনসহ ৭জন, বিএনপি-সেচ্ছাসেবকদলের আহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, সকালে অবরোধের সমর্থনে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি জি এম সিরাজের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি ঢাকা- বগুড়া মহাসড়কের হাসপাতাল রোডের মোড়ের সামনে পৌছালে একই সময় ওখানে উপজেলা আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশের মিছিল আসে। সমাবেশস্থলের পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় সেখানে প্রায় আধাঘণ্টা ধরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে পুলিশের ৫জন, সাংবাদিক ১ , বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১২ নেতা-কর্মী আহত হন। অপরদিকে আওয়ামীলীগের ও যুবলীগের ৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষের বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু অভিযোগ করে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলাম। হাসপাতাল রোড এলাকায় এলে আওয়ামীলীগের লোকজন পিছন থেকে এসে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। আমরা ঘুরে প্রতিহত করার চেষ্টা করতেই পুলিশ টিয়ারশেল ছুঁড়তে শুরু করে। এতে আমাদের ১২ জন আহত হয়েছেন।
তবে সংঘর্ষের জন্য বিএনপিকেই দায়ি করেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারিক। তিনি বলেন, বিএনপি প্রথমে আমাদের দিকে ইটপাটকেল ছুঁড়ে হামলা করে। তারপর আমাদের লোকজন প্রতিহত করতে গেলে এ সংঘর্ষ বাঁধে। এতে আমাদের অন্তত ৭ জন নেতা কর্মী আহত হন।
শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, বিএনপি ও আওয়ামীলীগের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আমিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও ১০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে/।