1. editor@dailybogratimes.com : dailybogratimes. :
শেরপুরে অবৈধভাবে মানব ভ্রুণ হত্যার রমরমা ব্যাবসা, টার্গেট স্কুল বা কলেজ শিক্ষার্থী » Daily Bogra Times বগুড়া টাইমস
Logo রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
কুড়িগ্রামে নদীতে গোসল করতে নেমে নিহত ১ শিক্ষার্থী, উদ্ধার ১  সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় থানা বিএনপির সংবাদ সম্মেলন বগুড়ায় আবাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দুইটি নলকূপ স্থাপন  মহাদেবপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ অনুুুুুুুুুুুুুুুুুষ্ঠিত সাঁথিয়ায় বিএনপি’র ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন গাবতলীতে হালিমাতুস সাদিয়া রাঃ হাফেজি ক্বওমী মাদ্রাসার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন  পাঁচবিবিতে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন জামায়তের বিশাল কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত  চাঁপাইনবাবগঞ্জে যৌথ বাহিনী দিয়ে তুলে নিয়ে অপহরণের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন  সাঁথিয়ায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান রাণীনগরে মারপিটে আহত গৃহবধুর মৃত্যু  মাদকের বিরুদ্ধে নওগাঁর শিক্ষার্থী ও ইমাম মোয়াজ্জেমদের মানববন্ধন রাজশাহী প্রেস ক্লাবে বিএনপি নেতাদের সংবাদ সম্মেলন রাজশাহীতে ৬দফা দাবিতে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছুতে আমার হাত দেব না : ধর্ম উপদেষ্টা সীমান্তে বিএসএফের হত্যাকাণ্ডকে ‘নিআচর্মমতা’ বললেন ইউনূস

শেরপুরে অবৈধভাবে মানব ভ্রুণ হত্যার রমরমা ব্যাবসা, টার্গেট স্কুল বা কলেজ শিক্ষার্থী

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
  • মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪
  • ৯৮ বার পঠিত
শেরপুরে অবৈধভাবে মানব ভ্রুণ হত্যার রমরমা ব্যাবসা, টার্গেট স্কুল বা কলেজ শিক্ষার্থী
print news

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বাংলাদেশে গর্ভপাত বেআইনি বা দন্ডনীয় অপরাধ। এগুলোর কোন তোয়াক্কা না করেই
শেরপুর উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আশেপাশে পৌর শহর এলাকায় বাসা ভাড়া
নিয়ে অবৈধ গর্ভপাত, মানব ভ্রæন নষ্ট বা হত্যার রমরমা ব্যাবসা চালিয়ে যাওয়ার
অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ ১০- ১৫ বছর ধরে অবৈধভাবে ভ্রুণ হত্যার ব্যাবসা চালিয়ে
গেলেও নজরে আসেনি কর্তৃপক্ষের। হাতের নাগালে এমন ভ্রুণ নষ্ট বা হত্যা করতে পারায়
স্কুল বা কলেজ শিক্ষার্থীরা আরো বেশি অবৈধ সম্পর্কে জড়াচ্ছে বলে জানান
স্থানীয়রা।

এমন ঘটনায় স্থানীয় অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং অতিদ্রুত
সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। এই কাজ করছেন বগুড়ার
শেরপুর উপজেলার পিয়ারা খাতুন। তার টার্গেট স্কুল বা কলেজ শিক্ষার্থী। কারণ তাদের
অবৈধ সম্পর্কের কারণে গর্ভধারণ হলে ওই ভ্রুণ নষ্ট করলে বেশি টাকা পাওয়া যায়।

জানা যায়, গত ২৫ জুন মঙ্গলবার ১৬ বছরের এক কিশোরী হাসপাতাল রোড এলাকায়
একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এম আর করতে আসে। তখন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তার
স্বামীকে আনতে বলে সে বিবাহিত কিনা? ওই কিশোরীর সঙ্গে থাকা লোকজনের
কথায় অসংগতি পাওয়ায় তাদের এমআর করতে অসম্মতি জানান ক্লিনিক কর্তপক্ষ। তখন
কিশোরীর পরিবার ক্লিনিক থেকে বের হতেই স্থানীয় দালাল জানান পিয়ারা খাতুন
নামের এক ধাত্রী হাসপাতাল রোড শান্তি নগর এলাকায় এম আর করে।

সেখানে অল্প টাকায় কাজ করে দেওয়ার কথা জানায়। তার কথা অনুযায়ী ২৫ জুন মঙ্গলবার বিকেলে শান্তি নগর
এলাকায় পিয়ারা খাতুনের ভাড়া নেওয়া বাসায় গিয়ে মানব ভ্রুণ নষ্ট করে বাড়িতে
যাওয়ার সময় রাস্তায় জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায়। স্থানীয়রা অসুস্থ কিশোরীকে উদ্ধার করে
বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, খানপুর ইউনিয়নের এক যুবক স্কুল পড়–য়া ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের
সম্পর্ক গড়ে তুলে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এতে ওই কিশোরীর গর্ভবতী হয়।

পরে সেই কিশোরীকে নিয়ে এসে ২৫ জুন মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতাল রোড শান্তি নগর
এলাকায় পিয়ারা খাতুনের ভাড়া মানব ভ্রুণ নষ্ট করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন আরোও জানান, দীর্ঘদিন যাবত পিয়ারা
খাতুন নামের এই ধাত্রী বাসা ভাড়া নিয়ে (এম আর) করে আসছেন, যতটুকু শুনেছি
দিনে ২-৫ টা (এম আর) হয়। প্রতিটিতে খরচ প্রায় ৩ হাজার থেকে শুরু করে যার থেকে
যা নিতে পারে।

ধাত্রী পিয়ারা খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি আর এসব
কাজ করিনা। তখন সংবারেদ তথ্য সংগ্রহের জন্য গোপনে এমআর করতে চাইলে তিনি
করতে চান। এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আলেয়া ও আশা নামের
দুইজনের একজনের কাছে নিয়ে গিয়ে এম আর (কাজটি) করিয়ে দিতে চাইছিলাম।
ডা: স্বপন জানান, আমাদের ক্লিনিকে এসেছিল এম আর করার জন্য। এটা অবৈধ
গর্ভপাত জানতে পেরে আমরা করিনি। তাছাড়াও ক্লিনিক খরচ বেশি। বাহিরে গ্রাম্য
ধাত্রী দিয়ে অল্প টাকায় এই গর্ভপাতগুলো করানো হচ্ছে। শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য

কমপ্লেক্সের প: প: কর্মকর্তা সাজিত হাসান জানান, শুনেছি পিয়ারা খাতুন নামের
একজন বাসা ভাড়া নিয়ে এমআর করে। পিয়ারা খাতুনের সম্পর্কে কোন কিছুই
জানিনা। এখন পর্যন্ত এ সংক্রান্ত আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি।
অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এমআর ওয়ার্ড
শেরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই। বগুড়া শজিমেকে আলাদা ইউনিট আছে।

এনাম হক / ডেইলি বগুড়া টাইমস

আরো খবর
© All rights reserved by Daily Bogra Times  © 2023
Theme Customized BY LatestNews