শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধঃ- বগুড়ার শেরপুরে স্থানীয়দের সহায়তায় আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯মার্চ) দুপুরের পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বগুড়ায় জেলহাজতে পাঠানো হয়। এরআগে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার উলিপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে মো. সেলিম রেজা (৩০) ও একই জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর রাজিবপুর গ্রামের হারিস উদ্দিনের ছেলে মমিনুল ইসলাম মমিন (৩৫)।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা সাধারণ নিরীহ মানুষদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় সেলিম রেজা একটি সিএনজি চালিত অটোরিকনা নিয়ে চালক এবং মমিন যাত্রীবেশী শেরপুর-রানীরহাট আঞ্চলিক সড়কের রুপালি বাজার নামক স্থানে অবস্থান করছিল। এসময় শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের শংকরহাটা গ্রামের ষাট বছরের বৃদ্ধা বাছা বেওয়া স্থানীয় গোয়ালবিশ^া গ্রামে যাওয়ার জন্য সেখানে অপেক্ষা করছিলেন। একপর্যায়ে দাঁড়িয়ে থাকা তাদের সিএনজিতে ওঠে গোয়ালবিশ^া যাওয়ার সময় যাত্রীবেশী প্রতারক মমিন একটি স্বর্ণের বার বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে ওই বৃদ্ধার নিকট থেকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা, একটি স্বর্ণের চেইন হাতিয়ে নেয়। পরে সিএনজিটি বিশালপুর হঠাৎপাড়া এলাকায় পৌঁছালে প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি টের পেয়ে ভুক্তভোগী বৃদ্ধাটি চিৎকার শুরু করেন। এসময় আশপাশের লোকজন এসে সড়কে বেরিকেড দিয়ে সিএনজিটি থামায়। সেইসঙ্গে ওই দুই প্রতারককে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন তারা।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে আরো ২-৩ জন ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমা- চাওয়া হবে। পাশাপাশি অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলে দাবি করেন তিনি।