অভিযোগকারি নাজনিন পারভীন পলি শেরপুর পৌর শহরের কলেজ রোড এলকার বাসিন্দা ও বর্তমান পৌর মেয়র জানে আলম খোকার ছোট বোন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে পলি বলেন, তিনি গত রবিবার তার দুই শতক জমি বিক্র করার জন্য ক্রেতাকে সাথে নিয়ে শেরপুরের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যান। সেখানে অফিসের কর্মকর্তা সকল কাগজপত্রের সঠিকতা নিশ্চিত করে দলিল লিখে নিয়ে আসতে বলেন। এরপর তিনি শেরপুর দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিনের কাছে দলিলটি লিখে নেন। কিন্তু জামাল মোটা অংকের টাকা দাবি করে দলিলটি আটকে রাখে। এরপর সমিতির সভাপতি এস এম ফেরদৌস এবং অফিসের কর্মচারী জাহিদুল ইসলামও তার কাছে টাকা দাবি করেন। শুধু তাই নয়, তারা জমির ক্রেতার কাছেও টাকা দাবি করলে তিনি জমি কিনতে অস্বীকার করেন। এতে পলি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে পলি জানান,” আমি জমিটি সাড়ে ৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করতে চেয়েছিলাম। আমার কাছে জামাল ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এছাড়া অফিসের পিয়ন জাহিদুল ইসলাম তার কর্মকর্তার নামে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। এভাবে তারা অফিস ও সমিতির নামে প্রতিদিন অসহায় মানুষদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এর উপযুক্ত বিচার হওয়া দরকার।“
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শেরপুর দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বলেন, “জমিটি নিয়েএকটি মামলা চলমান রয়েছে। এজন্য দলিল রেজিস্ট্রি করা যায় নি। আমি তার কাছে কোন টাকা দাবি করি নাই।“
টাকা চাওয়ার কথা অস্বীকার করে অফিসের কর্মচারি জাহিদুল ইসলাম বলেন,”জমিটির দলিল রেজিস্ট্রি করতে আইনগত কোন বাধা নেই। কিন্তু তারা আমাদের কাছে দলিল নিয়ে আসেনি। তাই রেজিস্ট্রি করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে শেরপুরের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন,”সমিতির বিষয়ে আমি জানি না। আমার কাছে কেউ দলিল নিয়ে আসলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিক থাকলে রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হবে।“