সংগঠনের গঠনতন্ত্র মেনে সহ-সভাপতি করার দাবি
বেড়া(পাবনা)প্রতিনিধি: ১লা আগস্ট মঙ্গলবার পাবনা বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইউপি সদস্য সেলিম মন্ডল কে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর সহ-সভাপতি প্রস্তাব করে ঘোষণা করা হয়েছে।সহ-সভাপতি এই পদ সাংগঠনিক গঠনতন্ত্র অনুযায়ী হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন দলের এক অংশ।বুধবার ২ আগস্ট সন্ধ্যায় হাটুরিয়া বাজারে এক পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় উপস্থিত ছিলেন, হাজী মোহাম্মদ নূর ইসলাম সাবেক সভাপতি ইউনিয়ন আওয়ামী,ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন।যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক মনসুর রহমান মনজেল।নাছির উদ্দিন বাদশা সহ-সভাপতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। হাজী সাইদুল ইসলাম সভাপতি বেড়া উপজেলা কৃষক লীগ। আতোয়ার হোসেন সভাপতি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সহ স্থানীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এসময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পাদক এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বলেন সহ সভাপতি পদে যে দায়িত্ব দিয়েছে তা সাংগঠনিক নিয়ন মেনে দেওয়া হয়নি। পথ সভায় হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক স¤পাদক ফরজ আলী তার বক্তব্যে বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে অনেক আগে সেই কমিটি তে সাত জন সহ-সভাপতি আছে।নতুন সহ-সভাপতি যাকে করা হয়েছে সেটা কি ভাবে করা হলো। এটা সাংগঠনিক নিয়ম না মেনে করা হয়েছে। তাকে সাংগঠনিক গঠনতন্ত্র মেনে সহ-সভাপতি করার দাবি আমাদের।বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক পাদক জাহাঙ্গীর আলম দাদা বলেন,আর দুই মাস পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন এই নির্বাচনে এ্যাড: শামসুল হক টুকু এমপি সাহেব কে বিপুল ভোটে জয় যুক্ত করতে হবে।আর এই সময় এসে একজন কে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর সহ-সভাপতি প্রস্তাব করে বসে। এই প্রস্তাব গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সঠিক না। যে সহ-সভাপতি হয়েছে তার বিপক্ষে ও আমি না। সে তো আমাদের লোক,যে ভাবে করা হয়েছে এতে তাকেও হেউ করা হয়েছে। যদি কাউকে পদ দেওয়া জরুরি হয় তাহলে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ পাদক প্যাড এর মাধ্যমে দায়িত্ব দিবে। যে কাজটি করা হয়েছে তা আমাদের দলের ভেতরে যড়যন্ত্র করা হয়েছে।ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ সরকার বলেন,পার্টি অফিসে একটি বর্ধিত সভা হয়েছে সভা শেষ সভাপতি সাহেব তার পকেটের একটি ঘোষণা দেন। ইউনিয়ন পরিষদ এর সদস্য আওয়ামী লীগ এর পরীক্ষিত কর্মী সেলিম মন্ডল কে সহ-সভাপতি পদে ঘোষণা করেন। সেলিম মন্ডল আমার পছন্দের একটা মানুষ সে ছাত্রলীগ থেকে রাজনীতি করে। সহ-সভাপতি না এর চেয়ে আরো ভালো পদের যোগ্য। আমরা চাই সেলিম কে সাংগঠনিক গঠনতন্ত্র মেনে পদ দেওয়া হোক। সভাপতি সাধারণ স¤পাদক তাদের নিজের ইচ্ছে মতো সংগঠন নিয়ে কোনো কিছু করতে পারনে না। এ বিষয় ইউপি সদস্য সেলিম মন্ডল বলেন, এ বিষয় তারা ভালো জানে আমি কিছু জানি না। তার প্রস্তাব করছে তারাই সমালোচনা করছে। যারা বক্তৃতা করছে তারা কেউ আমার বিরুদ্ধে কিছু বলে নাই। তারা কথা বলছে সভাপতি সাধারণ স¤পাদক এর বিরুদ্ধে। দল যদি মনে করে আমি দলের জন্য যোগ্য দরকার তাহলে নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত নিবে। আমি কখন ও পদ পদবীর রাজনীতি করি না।আমি রাজনীতি করি মানুষের সেবা করার জন্য। আমি শেখ হাসিনার উন্নয়ন এর কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার রাজনীতি করি। আমার চিন্তা চেতনা কি ভাবে ডেপুটি ¯পীকার এ্যাড: শামসুল হক টুকু এমপি সাহেব এর হাতকে শক্তিশালী করে আবার শেখ হাসিনা কে বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী বানানো যায়।দলের জন্য আমার শ্রম ত্যাগ কম নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আবু সাঈদ বলেন,আমরা স্টপ করেছি,ওটা পরবর্তীতে উপজেলা কমিটি শিদ্ধান্ত নেবে।