বগুড়ার শেরপুর উপজেলাধীন খামারকান্দি ইউনিয়নের ঘোড়দৌড় গ্রামে বাস্তবায়িত আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের গৃহ বিতরণে অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশের জেরে ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাংবাদিকের পিতাকে গালিগালাজের অভিযোগ উঠেছে।
দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকায় গত ২০২৪ সালের ২৫ জুন “বগুড়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পই যেন আশ্রয়হীন করার প্রক্রিয়া” এবং গত ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর “আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে দুর্নীতি: ৩ মাসেও শেষ হয়নি তদন্ত, চলছে হুমকি ও ধামাচাপার চেষ্টা” শিরোনামে ২ পর্বের অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের নীতিমালা লঙ্ঘনসহ নানা অনিয়মের তথ্য উন্মোচিত হয়।
অনুসন্ধানী সংবাদসহ ভুক্তভোগীর অভিযোগের দীর্ঘ ৮ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তদন্ত সম্পন্ন করতে পারেনি প্রশাসন।
বর্তমানে প্রকল্পের তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন খামারকান্দি ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ ফেরদৌস জামান শহীদ। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) তিনি তার সহকারীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে তদন্তে যান।
এসময় তিনি সেখানে গিয়ে সংবাদ প্রকাশ ও অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন দাবি করে সাংবাদিকের পিতাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। তিনি কাকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করতে ছিলেন নিশ্চিত হবার জন্য সাংবাদিকের বড় ভাই তাকে জিজ্ঞেসা করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকের পিতার নাম উল্লেখ্য করেন। যা স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী এ ঘটনার সত্যতা জানান।
পরবর্তীতে সাংবাদিকের পিতা খামারকান্দি ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারি কর্মকর্তা মোঃ ফেরদৌস জামান শহীদের নিকট অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার কারণ জানতে চাইলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
সুষ্ঠু তদন্তের আশঙ্কা ও এই অনাকাংক্ষিত ঘটনা সম্পর্কে অবগত করার জন্য শেরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম রেজাউল করিমের সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে একাধিক যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পরবর্তীতে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিক খানের নিকট সুষ্ঠ তদন্তের দাবি ও অনাকাংক্ষিত ঘটনা সংক্রান্ত বিষয় অবগত করার জন্য যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সাংবাদিক পিতাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার বিষয়টি অবগত নন এবং সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দেন।