পাবনা প্রতিনিধি ঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার উত্তর অঞ্চলের তিনটি ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষের প্রবেশদ্বার নামে খ্যাত নৌবাড়িয়া- ভাঙ্গুড়া সংযোগ সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা।
সড়কের পিচ ঢালাই ও ইটের সুড়কি উঠে বড় বড় খানা খন্দ তৈরি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় দিনের পর দিন হাঁটু পানি জমে থাকে। সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা ও অপরিকল্পিত বসতবাড়ির ময়লাযুক্ত নোংড়া পানি প্রতিনিয়ত এসে জমা হচ্ছে রাস্তায়।
তার মধ্য দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই হেলে দুলে চলছে বিভিন্ন ধরণের যাত্রীবাহী গাড়ি । উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও পথচার এই পথগুলি ব্যবহার করে থাকেন।
উপজেলার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মাস্টার পাড়া টু নৌবাড়িয়া, রেল লাইন পাড়া টু ভদ্রপাড়া ও চরভাঙ্গুড়া টু ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ রাস্তায়ও এমন চিত্র দেখা গেছে।
তবে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ বলছেন, অতিবৃষ্টির কারণে পৌরসভার রাস্তাসহ কিছু স্থানে পানি জমে ভেঙ্গে গিয়ে যান চলাচলের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
পাশাপাশি পৌর সদরের নতুন ড্রেনেজ নির্মাণের কাজ চলায় সাময়িক কোথাও কোথাও সমস্যা হচ্ছে। তবে তা বেশি দিন থাকবে না। নতুন বরাদ্দ পেলেই আগামী বছর রাস্তা সংষ্কারের চেষ্টা করা হবে।
সম্প্রতি সরেজমিন, প্রথম শ্রেণির পৌরসভা ভাঙ্গুড়ার ১নং ওয়ার্ডের উত্তরাঞ্চলের অষ্টমনিষা, দিলপাশার ও খানমরিচ ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষের উপজেলা সদরের প্রবেশদ্বার নামে খ্যাত মাস্টার পাড়া টু নৌবাড়িয়া প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা,
রেললাইন পাড়া টু ভদ্রপাড়া, উপজেলা টু চরভাঙ্গুড়া রাস্তার উপজেলা মোড় ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার পিচ, খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় খানা খন্দ তৈরি হয়েছে।
বেশির ভাগ রাস্তার পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জমে থাকছে পানি। হেলে দুলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে যাত্রীবাহি গাড়িসহ অন্যান্য যানবাহন। পানির নিচে বড় বড় গর্তে গাড়ির চাকা পড়ে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
বিশেষত, খানমরিচ, অষ্টমনিষা ও দিলপাশার ইউনিয়নের বাসিন্দাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসার পথে রোগিবাহী গাড়ি গুলোকে পড়তে হয় বড় বিপাকে।
অপরদিকে রেললাইন পাড়া টু ভদ্রপাড়া রাস্তার কওমী মাদ্রাসার পাশে বৃষ্টির পানি ও অপরিকল্পিত বাসা বাড়ির ময়লা ও নোংড়া পানি জমে সেখানেও বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে।
বেইলী সেতু হয়ে রেললাইন রাস্তা দিয়ে উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভায় সেবা গ্রহীতার প্রতিদিন শতশত মানুষ যাতায়াত করতে জনদূর্ভোগ পহাতে হচ্ছে।
অপরদিকে চরভাঙ্গুড়া টু ভাঙ্গুড়া বাজার রাস্তার উপজেলা পরিষদ মোড়ে সেখানেও রাস্তার উপর দীর্ঘদিন পানি জমে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলে সমস্যা তৈরি করেছে।
উপজেলার খানমরিচ, অষ্টমনিষা ও দিলপাশার এ তিনটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ মাস্টারপাড়া টু নৌবাড়িয়া রাস্তার দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে।
এই রাস্তার ধরেই মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল স্কুল, সরকারি হাজী জামাল উদ্দীন ডিগ্রী কলেজ, সরকারি ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্স, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভায় সেবা নিতে প্রতিনিয়ত এই রাস্তা ব্যবহার করেন থাকেন।
অতিদ্রুত চলাচলে এই সকল জনবহুল রাস্তা অথচ অপরিকল্পিকভাবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর মাঝে মধ্যে রাস্তা কার্পেটিং করলেও তা দীর্ঘস্থায়ী বা টেকসই হচ্ছে না।
প্রধান প্রধান সড়কের পাশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রেখে রাস্তা সংষ্কার কিংবা কার্পেটিং করলে সরকারের অর্থের অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে রাস্তার উন্নয়নও হবে টেকসই এমন দাবী স্থানীয় বাসিন্দাদের।
খানমরিচ ইউনিয়নের বাসিন্দা আয়ুব আলী বলেন, জন গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা গুলিকে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত সংষ্কার করে মানুষের চলাচলে স্বাভাবিক করা দরকার ।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে পৌরসভার কোন কোন রাস্তার উপর পানি জমে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বরাদ্দ পেলে আগামী নভেম্বরে সংষ্কারের জন্য নতুন টেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে ।
উপজেলা প্রকৌশলী মোছাঃ আফরোজা পারভীন বলেন, কাজ গুলি এবছরে করার মত আর সুযোগ নেই। বরাদ্দ পেলে আগামী বছরের টেন্ডারে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।