সাজা দিয়ে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে পারবেন না- মির্জা ফখরুল ।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসা নিয়ে তার পরিবার সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদনই করেননি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলেছেন। দেশের মানুষ এত বোকা নয়। তারা বুঝেছে শেখ হাসিনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়া। তাকে যদি আটক রাখা যায় তাহলে তারা (সরকার) অবৈধ শাসন টিকিয়ে রাখতে পারবে। আজকে তাই তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চায়। দেশের মানুষ পরিষ্কার জানিয়ে দিতে চায় খালেদার কিছু হলে জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না। সোমবার বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবিতে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। দুপুর ২টায় এ সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১১টা থেকেই মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। মির্জা ফখরুল যখন মঞ্চে আসেন তখন বিজয়নগর থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেশে সহনশীল রাজনীতি সৃষ্টি করেছিলেন। সংসদীয় গণতন্ত্র কায়েম করেছেন। আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৭৬ দিন হরতাল দিয়েছে। আজকে তারা তা মানছেন না। এই আওয়ামী লীগ কোন রাজনৈতিক দল নয়। এরা ফ্যাসিস্ট। আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায় দিয়ে বিএনপির ১৫ জন নেতাকে ৪ বছর করে সাজা দিয়েছে। গতকাল আরো ১৫ জন সাবেক ছাত্র নেতাকে জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারা মনে করছে এদেরকে আটক রাখলে বিএনপিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। প্রতিটি সাজার বিরুদ্ধে হাজার হাজার কর্মী সৃষ্টি হচ্ছে। বিএনপি হচ্ছে ফিনিক্স পাখির মতো। অনেক সিনিয়র নেতাদের সাজা দিয়ে আটক রেখেছে। এগুলো করে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে পারবেন না।
তিনি বলেন, এবার ক্ষ্যান্ত হোন। আর অত্যাচার করবেন না। আপনারা বুঝতে পারছেন না আপনাদের জন্য কি দাঁড়িয়ে আছে। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। আইয়ুব-ইয়াহিয়াও পারে নাই, এরশাদ পারে নাই। আপনিও পারবেন না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গতকাল প্রধান বিচারপতি বলেছেন, রাজনীতির বাইরে গিয়ে বিচার করবেন। রাজনীতির মধ্যে থাকা যাবে না। আজকেও রাজনৈতিক কারণে ১৫ জনকে ফরমায়েশি রায় দিয়ে নেতাদের জেল দেয়া হয়েছে। সরকার আদালতকে দলীয়ভাবে ব্যবহার করছে।
ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক অধ্যাপক ফরহাদ হা লিম ডোনারের সভাপতিত্বে আমিনুল হক ও লিটন মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট আজম খান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টু কু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক খান, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান প্র মুখ।