রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলায় টানা ৫দিনে থেমে থেমে বৃষ্টিপাতে এবং সাজেক-ভারত সীমান্ত এলাকা থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চল আবারো প্লাবিত হয়েছে। এতে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা কবাখালী সড়ক এবং বাঘাইহাট বাজারের সড়ক ডুবে যাওয়ায় পর্যটন এলাকা সাজেক বেড়াতে আসা প্রায় ৩ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে।
৫দিনের বৃষ্টিপাতের ফলে হঠাৎ পানি বেড়ে সড়কের কিছু অংশ তলিয়ে যাওয়ায় তারা ফিরতে না পারায় সাজেক অবস্থান করছে। এদিকে ভারী ও মাঝারি বৃষ্টিপাতের ফলে সড়কের কিছু অংশের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নিম্নাঞ্চলের অনেকাংশে বাড়ী-ঘরের উঠান পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের একাংশ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় শনিবার (৩ আগস্ট) সকাল হতে বাঘাইছড়ির সাথে অন্যান্য জেলা-উপজেলায় ছোট-বড় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এব্যাপারে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আখতার জানান, কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের কারণে খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের একাংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে সাজেকে বেড়াতে আসা প্রায় ৩ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে।
আটকা পড়া পর্যটকরা গতকাল শুক্রবার ৩৪জন পর্যটক সাজেকে ঘুরতে যায়। এর আগে থেকে সেখানে আরও তিনশ পর্যটক ছিলেন। সব মিলে ৩ শতাধিক পর্যটক সেখানে অবস্থান করছে। হঠাৎ পানি বেড়ে সড়কের কিছু অংশ তলিয়ে যাওয়ায় তারা শনিবার ফিরতে পারেনি এবং সাজেক অবস্থান করছে।
তবে দুপুরে অথবা বিকেলে সড়ক থেকে পানি নেমে গেলে তাদের সাজেক থেকে ফিরিয়ে আনা হবে। বর্তমানে পর্যটকদের নিরাপদে সাজেকে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে ও পাহাড়ি ঢলে কাচালং নদীর পানি বিপদ সীমা রেখার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ও পাহাড়ী ঢলে বন্যার আশংখায় উপজেলার সবকটি আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রিতদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে আসাদের জন্য খাবারেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।