আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার সান্তাহার জংসন ষ্টেশনের পূর্ব পাশে বিশাল দুটি
পুকুরের মাঝখান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মনোমুগ্ধকর,সৌন্দর্যময়,নান্দনিক একটি সড়ক।
সড়কটির শেষ প্রান্ত্রে সড়কের গায়ে লেখা আছে ’সান্তাহার জোড়া পুকুর কাউন্সিলর
মাসুম স্মরণী সড়ক’।কেউ কেউ এই সড়কটিকে ’জোড়া পুকুর সড়ক’ নামেও ডেকে
থাকেন। সান্তাহার পৌরসভার সাবেক কমিশনার, সাবেক ছাত্র নেতা,জনপ্রিয় প্রয়াত
কাউন্সিলর বজলুল কবির মাসুম স্মরণে সান্তাহার পৌরসভার উদ্যোগে এই সড়কটি নির্মিত
হয়েছে। এই সড়কটি তৈরি হওয়ায় শত শত মানুষের পথ চলা সহজ হয়েছে। সময় ঁেবচেছে।
গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে ট্রেন যাত্রীসহ প্রতিদিন শত শত পথচারী যাতায়াত করে।
সান্তাহার জংসন ষ্টেশনের পূর্ব পাশের এই সড়কটি ট্রেনযাত্রী,অনান্য পথচারীর পারাপারের
একটি সেতু সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন শত শত পথচারি এই সড়ক দিয়ে ষ্টেশনে,সাহেব
পাড়া,চা বাগানের পথচারিরা প্রতিদিন যাতায়াত করে প্রায় ২৩ মিটার প্রসস্ত এই
সড়কটিতে দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে বসার কয়েকটি পাকা স্থান। বিকেল থেকে অনেক
দর্শনার্থী,তরুন-তরুণীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে সড়কটি। সড়কটির এক পাশের
বিশাল পুকুরে আছে পদ্মফুল। প্রতিদিন শত শত পথচারী এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। অনেক
তরুণ-তরুণীকে এই সড়কে সেলফি,ছবি তুলতে দেখ যায়। অনেককে গিটার নিয়ে বন্ধুদের
সাথে গান করতে দেখা যায়।
জংসন ষ্টেশনের পাশে সড়কটি হওয়ায় অনেক ট্রেনযাত্রী ট্রেনের বিলম্বের কারণে এই সড়কে
এসে বিশ্রাম নেয়। একটা সময় এই সড়কটি খুবই সরু ও চলাচলের অনুপযোগি ছিল।
প্রয়াত ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাসুম ও অনান্যদের নানা প্রচেষ্টায় একটা সময় এই
সড়কটি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয় সান্তাহার পৌরসভা । বর্তমানে এই সড়ক দিয়ে শত শত
ট্রেনযাত্রী ও অনান্য পথচারী যাতায়াত করে কম সময়ে । সাতটি বসার আসন সাতটি
ইলেকট্রিক লাইটপোষ্ট আছে এ সড়কে। দুই বিশাল পুকুরের মাঝে একটি মনোরম সড়ক সৎ
কাউন্সিলরের নামে তৈরি করে সান্তাহার পৌরসভা মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন।
সেহেল নামে মাদ্রাসার একজন শিক্ষার্থী বলেন, ’প্রয়াত মাসুম কাউন্সিলারের নামে
সড়কটির নামকরণ করে একটি মহৎ কাজ করেছেন সান্তাহার পৌরসভা মাসুম কাউন্সিলর
একজন অত্যান্ত সৎ,অমিয়িক মানুষ ছিলেন।
এখানে আসলে তার কথা মনে যায়। ’নাসরিন আক্তার নামে একজন ছাত্রী বলেন, ’সড়কটি শুধু মাসুম কাউন্সিলরের নামে নামকরন
হলে আরো ভাল হত। এখানে জোড়া পুকুর নামটি না থাকলেও হত। এখানকার নাম ফলকটি পুরোনা ও লেখা অস্পষ্ট হয়ে গেে ছ ।সান্তাহার পৌরসভার প্যানেল মেয়র জার্জিস আলম রতন বলেন, ’প্রয়াত কাউন্সিলর ও সাবেক ছাত্র নেতা এই সড়কটি নির্মাণ করার বিষয়ে মুখ্য ভূমিকা রেখেছিল। প্রতিটি পৌরসভার
মিটিংয়ে তিনি এই সড়কটি নির্মাণ করার বিষয়ে বলতেন। তাই তাঁর মৃত্যুর পর আমরা
সম্মিলিত সিদ্ধান্তে এই সড়কটি তার নামে নামকরণ করি এবং সড়কটি নির্মান করি।’
সান্তাহার পৌরসভার সাবেক সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম বলেন, এটি গুরত্বপূর্ন নগর
অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পৈর একটি অংশ। যা এলজিডির অর্থ্যায়নে সান্তাহার পৌরসভা
বাস্তবায়ন করেছে।
প্রয়াত কাউন্সিলর মাসুমের ছোট ভাই শেখ মাসুম সারওয়ার নিটু বলেন, এই সড়কটি
নির্মান করার মধ্যদিয়ে এবং আমার প্রয়াত ভাইয়ের নামে নামকরন করে একজন আদর্শবান,সফল
ও সৎ কাউন্সিলারকে মুল্যায়ন করা হয়েছে। এ জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।
প্রসংগত সান্তাহার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ বজলুল বাহার মাসুম অসুস্থ্য হয়ে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৬ সালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্য
সান্তাহার পৌরসভা ২০১৬ সালে এই সড়কটি নির্মাণ করেন।