আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার পৌর শহরে মোড়ে মোড়ে
বর্তমানে তরমুজের দোকান। দাম কমলেও আশানুরুপ তরমুজ ক্রেতা নেই বলে জানিয়েছেন
কয়েকজন ক্রেতা। রমজানের শুরুতে ৮০ টাকা অপরিপক্ক তরমুজের দাম চেয়েছিল বিক্রেতারা।
এই আকাশচুম্বি দাম নিয়ে এবং কেজি দামে তরমুজ বিক্রির কারনে সারাদেশে ক্রেতাদের
মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সেটির প্রতিক্রিয়ায় সাান্তাহারের তরমুজের
বাজার ক্রেতাশুণ্য হয়ে পড়ে। ফলে দাম কমিয়ে বর্তমানে ৪০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি
হচ্ছে। তবে অনেক ক্রেতা অভিযোগ করছেন যে, তরমুজ পিস হিসেবে বিক্রি করা উচিত।
আজ (রবিবার) বগুড়ার সান্তাহার পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায় অনেক
মৌসুমি বিক্রেতা শহরের বিভিন্ন মোড়ে তরমুজের দোকান খুলে বসেছে। সান্তাহার
রেলগেট, সান্তাহার পুরাতন বাজারের বিভিন্ন স্থানে, স্টেশন সড়ক, রাধাকান্ত হাটে তরমুজ
বিক্রি হচ্ছে। তবে অধিকাংশ স্থানের তরমুজ অপরিপক্ক।
সান্তাহার রেলগেটের তরমুজ বিক্রেতা আজাদ বলেন, তরমুজের ব্যাপক আমদানি ও বিরুপ
আবহাওয়ার কারনে তরমুজের বিক্রি কম। তবে এখন ৫/৬ কেজি ওজনের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে।
৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। মানভেদে ৫০- টাকারও আছে।
সান্তাহার বাজারের স্কুল শিক্ষক খোরসেদা খানম জানান, তরমুজ একটি মৌসুমী ফল।
রমাজানের ইফতারে এই ফল অনুসঙ্গ। দাম একটু বেশি হলেও বাচ্চাদের কারনে কিনতে
হচ্ছে। বর্তমান বাজারে ক্রেতার সাধ আর সাধ্যর মাঝে অনেক ফারাক সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, বিক্রেতারা তরমুজ পিস না
কেজি হিসেবে বিক্রি করবে এটা নির্ধারন করার কর্তৃপক্ষ কৃষি উন্নয়ন অধিদপ্তর।
এবার দেশে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।
কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের বগুড়া অফিসের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মমতা হক
জানান, যদি কোন বিক্রেতা কৃষকের জমি থেকে তরমুজ পিচ হিসেবে কিনে বিক্রি
করতে চায় তাহলে তাকে পিচ হিসেবেই বিক্রি করতে হবে। তবে আমরা এ ব্যাপারে একটা
নীতিমালা অচিরেই ভোক্তাদের দিতে পারবো বলে আশা রাখি।