আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার সান্তাহার পৌর ও জংসন শহরে মোড়ে
মোড়ে মৌসুমী ফলের পসরা সাজিয়ে ব্যবসা করছে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।
বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে আম। শহরের অন্তত ১৪টি মোড়ে স্বুসাধূ
ফল আম পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রেতারা বলছে ফলের ব্যবসা করে মোটামাটি আয় করছে
তারা। সান্তাহার রেলগেটে উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৌসুমী ফল
কেনাবেচা হয় বলে জানা গেছে। প্রায় সারা বছর এখানে নানা রকম ফল পাওয়া যায়।
বৃটিশ আমলে নির্মিত সান্তাহার জংসন ষ্টেশনের যে দুটি রেলগেট আছে,
সেখানেই ফলের আড়ত । কাকডাকা ভোরবেলা এখানে ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন
প্রান্ত্র থেকে নানা রকম ফল ব্যবসায়ীরা নিয়ে আসে।
কিছু ফল আবার এখান থেকে পাইকাররা কিনে নিয়ে যায়। সান্তাহার রেলগেটে ১৩/১৪ টি ফলের দোকান আছ্ধেসঢ়;
এখানে আম,জাম, আঙ্গুর, লিচু,কলা, বেদনা, বেল, কদবেল, ডাব, আনারস, পেপে,
জাম, তেতুল, কাঠালসহ প্রায় সব রকমের ফল পাওয়া যায়। এখানকার ফল ব্যবসায়ীরা
রাজশাহী, চাপাইনবাবগজ্ঞ গিয়ে সরাসরি আম কিনে নিয়ে আসে। বর্তমানে
মানভেদে ৫০ টাকা থেকে ৯০ টাকা কেজিতে আম বিক্রি হচ্ছে শহরের বিভিন্ন
দোকানে।
সান্তাহার রেলগেট ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা চত্বর, ষ্টেশন রোডে, দৈনিক বাজার,
সান্তাহার- –বগুড়া সড়ক সহ বিভিন্ন স্থানে আম বিক্রি হচ্ছে। সান্তাহার
রেলগেটের মৌসুমী ফল ব্যাবসায়ী আসাদুল হক চানান, আমি বহুদিন ধরে এখানে
ফলের ব্যবসা করি। এই মৌসুমে নিজে চাপাইনবাবগজ্ঞ গিয়ে আম কিনে নিয়ে
এসেছি। একটা ফলের মেয়াদ পার হলে আমরা অন্যটা বিক্রি করি। আমাদের এখান
থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা এসে আম ও অনান্য ফল কিনে নিয়ে
যায়।
শিক্ষিক খোরসেদা খানম জানান, বাচ্চা ও নিজেদের জন্য মৌসুমী ফল সান্তাহারে
প্রায় সারাবছরই পাওয়া যায়। আজ ( শুক্রবার) বাসার জন্য আ¤্রপালি আম কিনলাম ৭০
টাকা কেজি করে। এ বছর সব শ্রেনীর মানুষ আম কিনতে পেরেছে। দাম সহনয়ি
ছিল। বর্তমানে দাম বেশি। কিছু জাম,আনারস কিনলাম। আমাদের ভাজা-পোড়া
সামগ্রি ছেড়ে মৌসুমী ফল খাওয়া দরকার।
মোঃ রবিঊল ইসলাম (রবীন)