সান্তাহার খাদ্য সংরক্ষণাগারে কমবে ব্যয়-বাড়বে আয় ।
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার (কেন্দ্রীয় খাদ্য
সংরক্ষণাগার) সিএসডিতে স্থানীয় পরিবহন ও শ্রমিক ব্যয় কমাতে সেন্ট্রাল স্টোরেজ
ডিপোতে স্থাপন হচ্ছে মিশ্রগেজ রেলপথ। রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল(রাজশাহী) ইতিমধ্যে ৪০
কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চলছে। শীঘ্রই এ প্রকল্পের
দরপত্র আহবান করা হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে রেলপথে আমদানি করা এবং অভ্যন্তরীণ
খাদ্যশস্য ওয়াগনে আসা ও যাওয়ায় লোড-আনলোডে স্থানীয় পরিবহন ও শ্রমিক বাবদ ব্যয়
বহুলাংশে কমে যাবে। একই ভাবে এই সিএসডি থেকে দেশের অনত্র খাদ্যশস্য পাঠানো এবং
অন্যত্র থেকে আসা খাদ্যশস্য আনলোড কাজ সরাসরি ওয়াগন থেকে হবে। লোড আনলোড
কাজে স্থানীয় পরিবহন ব্যয় কমবে। সেই সঙ্গে রেলওয়ের পন্য পরিবহন খাতে রাজস্ব আয় হবে।
সান্তাহার নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মোসলেম উদ্দীন জানান, সান্তাহার
সিএসডিটি সান্তাহার-বগুড়ার শহরের সড়কের পাশে অবস্থিথ। সেই কারণে নানা পণ্যে
সিএসডিতে লোড আনলোডিং করার সময় ভারি ট্রাকে শহরে প্রচন্ড যানযট সৃষ্টি হয়। ও
শব্দদুষণ হয়। এই প্রকল্প চালু হলে শহরে যানযট ও শব্দদুষণ কমবে।
সান্তাহার কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগার) সিএসডির ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) হারুন অর রশিদ
বলেন,ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মান প্রকল্প প্রস্তাব রেলওয়েকে দেওয়া হয়েছে।
রেলওয়ের রেলপথ নির্মান দপ্তর সান্তাহারের সিনিয়র উপ-সহকারি প্রকৌশলী/পথ আফজাল
হোসেন গনমাধ্যমকর্মীকে জানান,সান্তাহার সিএসডিতে শুধু মিটারগেজ রেললাইন
আছে। যেটি বর্তমানে তেমন একটা কাজে লাগে না। এ কারনে খাদ্য অধিদপ্তরের চাহিদা
মোতাবেক ডুয়েলগেজ লাইন স্থাপনের জন্য প্রায় ৪০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প
পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রধান কার্যালয় রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে খুব আল্প
সময়ের মধ্যে কাজের টেন্ডার আহবান করা হবে।