সুন্দরগঞ্জে চলছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের নির্মাণ কাজ কৃষি বিপ্লব ঘটাতেই নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার ।
হারুন অর রশিদ রাজু, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ এরই ধারাবাহিকতায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নির্মিত হচ্ছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট। ২ একর ১ শতাংশ জায়গার উপর এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৯৮ লক্ষ ৪৩ হাজার ১৬১ টাকা।
দেশের কৃষিতে বিপ্লব ঘটাতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি ও উচ্চফলন পেতে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করতে সব সময় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে সুন্দরগঞ্জের কৃষিবিদ রাশেদুল কবির।
কৃষিবিদ রাশিদুল কবির বলেন সব সময় চাহিদা মত জৈব সার না পাওয়ায় রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হচ্ছে কৃষকদের। তবে জৈব সারের এই ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করবে মানব বর্জ্য থেকে তৈরি জৈব সার।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন ইউনিয়নের জরমনদী এলাকায় নির্মিত হচ্ছে প্রকল্পটি।
জানা যায়, প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হলে সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী খোকন রানা বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্টে কঠিন বর্জ্য ও মানব বর্জ্য থেকে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে জৈব সার উৎপাদন করা হবে। এখানকার উৎপাদিত জৈব সার কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।খোকন রানা বগুড়া টাইম,স কে বলেন এই জৈব সার উৎপাদন করে সুন্দরগঞ্জের সব কৃষকের চাহিদা পূরণ করব এবং গাইবান্ধা জেলা সব কৃষিকের মাঝে এই জৈব সার পৌঁছে দিব ইনশাআল্লাহ।
সুন্দরগঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ রেজা সরকার বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্লানটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে পৌরসভার ময়লা আবর্জনা রাখার মতো নির্দিষ্ট একটি স্থান হবে। সরকার যেহেতু উদ্যোগ নিয়েছে আশা করছি, এখান থেকে উৎপাদিত জৈবসার কৃষকদের জন্য অনেক উপকারী হবে। আগে পৌরসভার ময়লা আবর্জনা ফালানোর নির্দিষ্ট কোন জায়গা ছিল না। সবচেয়ে বড় কথা প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ময়লা আবর্জনা ফালানোর নির্দিষ্ট একটা জায়গা হবে। পৌরসভা ময়লা আবর্জনা মুক্ত থাকবে।