বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা শহিদ কাপুর। আট বছর আগে, ২০১৫ সালের জুলাই মাসে মীরা রাজপুতের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। দিল্লির অভিবাসী মীরার সঙ্গে সম্পর্ক করে বিয়ে হয় বলিউড অভিনেতার। ততদিনে নিজেকে বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেও ফেলেছেন তিনি। তবে জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূত্রপাত বলে কথা। স্ত্রী মীরার সঙ্গে ঠিক কতটা মানিয়ে নিতে পেরেছিলেন শহিদ কাপুর?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মীরার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জানান শহিদ। বলিউড অভিনেতার দাবি, স্ত্রীকে তিনি ভালবাসেন বটে, তবে তার বিরুদ্ধে নালিশও কম নেই তার।শহিদ জানান, মীরা নাকি কিছুতেই সকালে ঘুম থেকে উঠতে চান না। তিনি বলেন, “বেলা ৯টার সময় ঘুম থেকে ডাকলেও মীরার চোখেমুখে শুধু বিরক্তির ছাপ!”
শুধু তাই নয়, মীরা নাকি একেবারেই প্রশংসা করেন না তার, অভিযোগ শহিদের। বিয়ের আগে একা নিজের ভারসোভার বাড়িতে থাকতেন শহিদ। প্রেমিকা নেই, পরিবার অন্যত্র। নিজের মতো করে বাঁচতেন শহিদ।
এদিকে বিয়ের পরে জীবনে নতুন মানুষের আবির্ভাব ঘটেছে। তার সঙ্গে মানিয়ে গুছিয়ে চলার চেষ্টা কম করেননি শহিদ। নিজের অনেক স্বভাবে পরিবর্তনও এনেছেন। তাতেও নাকি স্ত্রীর মন পাননি তিনি। শহিদের দাবি, তিনি যাই করুন না কেন, মীরার নাকি কোনও কিছুতেই মন ভরে না।
ওই সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, “আমার প্রশংসা করতে বোধ হয় মীরার গায়ে জ্বর আসে। আমি যাই করি না কেন, কিছুতেই মীরা আমার প্রশংসা করবে না। আমাকে না শুধরে ও থামবে না।”
শহিদের এই অভিযোগ যে আসলে স্ত্রীর উপর তার অভিমান, তা বুঝতে বাকি নেই অনুরাগীদের।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শহিদ এও জানান, বিয়ের পরে মীরাকে নিজের বাড়িতে আনতে গিয়ে নিজেই লজ্জায় পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। শহিদ বলেন, “যখন আমার ও মীরার বিয়ে হয়, তার আগেই আমি ভারসোভায় নতুন বাড়িতে এসেছি। নতুন বাড়িতে এসে মীরার নালিশের শেষ নেই। মীরা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘রান্নাঘরে তো মাত্র দু’টা চামচ আর একটা প্লেট রয়েছে, এই ভাবে কে থাকে’! আমি তখন বললাম ওকে, ‘আমি তো এত দিন একা থাকতাম, আর কীভাবে থাকব’!”
তবে, মীরার সঙ্গে বিয়ের পর মানুষ হিসেবে অনেক বদলে গিয়েছেন শহিদ কাপুর। অভিনেতার মতে, “বিয়ের পরে পুরুষরা বুঝতে পারেন, এত দিন পর্যন্ত জীবনে কোন কোন জায়গায় ভুল করেছে সে। সেই অনুযায়ী নিজের মধ্যেও বদল আনার চেষ্টা করা যায়।”
এখন মীরা ও শহিদ দুই সন্তানের মা-বাবা। চলতি বছরে মীরার সঙ্গে বিয়ের আট বছর পূর্ণ করতে চলেছেন অভিনেতা।