1. dailybogratimes@gmail.com : dailybogratimes. :
হজ ব্যবস্থাপনা সহজীকরণ ও ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণের প্রস্তাব » Daily Bogra Times
Logo বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
গাইবান্ধায় জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া পর্যটকদের সেন্টমার্টিন যেতে লাগবে ট্রাভেল পাস! বগুড়ার নন্দীগ্রামে মেশিনের ফিতায় জড়িয়ে যুবকের মিত্যু পাবনায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়ি পলাতক নাটোরের বড়াইগ্রামে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত- ১০ পাবনায় ইজিবাইক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২  গাবতলীতে কারের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে চালকের মৃত্যু যশোরের শার্শায় পুরোদমে চলছে আমন ধান কাটা ও মাড়াই ভূরুঙ্গামারীতে ভটভটির ধাক্কায় প্রতিবন্ধী কিশোরের মৃত্যু বগুড়ায় মুক্তিপণ দিতে না পারায়, শিশুর লাশ মিলল পুকুরে বগুড়ায় স্ত্রীর ওপর অভিমানে না ফেরার দেশে স্বামী পাঁচবিবিতে ট্রাক চাপায় বৃদ্ধ নিহত  ঘোড়াঘাটে কার্ভাড ভ্যানের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যু, আহত ২ নাটোরের সিংড়ায় গণশৌচাগার উদ্বোধন  নওগাঁয় প্রকাশ্যে কুপিয়ে একজনকে হত্যা

হজ ব্যবস্থাপনা সহজীকরণ ও ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণের প্রস্তাব

নিউজ ডেস্কঃ-
  • শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
হজ ব্যবস্থাপনা সহজীকরণ ও ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণের প্রস্তাব
print news

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনুছ সচিব কমিটির প্রথম সভায় মন্ত্রণালয়ের সব পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সচিবদের নির্দেশ প্রদান করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ ওই সভার সিদ্ধান্তের আলোকে এ বছরের জন্য একটি হজনীতি ঘোষণা করা যেতে পারে। এতে করে, পরিবর্তিত রাষ্ট্র ব্যবস্থায় হজনীতি হবে হজবান্ধব, সহনীয়। লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য দরকার একটি হজ ফান্ড তৈরি করা। হজ ব্যবস্থাপনা সহজীকরণ ও ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণের প্রস্তাব জরুরি যা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে

ওই হজ নীতিতে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় তার আদলে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা যেতে পারে। সরকার চাইলে ৩০০,০০০/- (তিন লাখ) টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারে। তবে, দুঃখের বিষয় ২০২৪ সালের হজের প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল ৭ লক্ষ টাকার উর্ধ্বে। কয়েক হাজার টাকা কমিয়ে কয়েকবার সময় বাড়িয়ে ও কোটা পুরণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। যে কারণে, সততা, দক্ষতা এবং স্বচ্ছতার ভিত্তিতে হজ প্যাকেজ প্রণয়ন করতে হবে। আগামী দিনে যুক্তিসংগত প্যাকেজ ঘোষণা করতে না পারলে জনগণ তাতে সাড়া দেবে না বলেই প্রতীয়মান হয়।

প্রথমে হজের সময় এবং ব্যয় নির্ধারনের বিষয় আলোকপাত করা হলো-

১. সর্বোচ্চ ২৫ দিন ব্যাপী হজ প্যাকেজ নির্ধারণ করা যেতে পারে। হজের জন্য প্রথাপক সময় হিসেবে নেয়া যেতে পারে। ফলে হাজিগণের অসুস্থ্য হওয়ার ঝুকি কমে যায় এবং খরচও কমে আসে। হজ প্রার্থীদের জন্যে হজ ফান্ড থেকে ভর্তুকির ব্যবস্থা করা। প্রয়োজনে ভর্তুকি ফান্ড গঠন করা যেতে পারে।

বাংলাভিশনের গুগল নিউজ ফলো করতে ক্লিক করুন
২. সংশোধিত বাজেটে মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন বাজেট থেকে কমিয়ে প্রয়োজনীয় অর্থ হজ ফান্ডে দেয়া যেতে পারে।

৩. ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চাহিদা পত্র অর্থ মন্ত্রণালয়ে সামারি আকারে প্রেরণ করা হলে অবশ্যই অর্থ বিভাগ প্রয়োজনীয় থোক বরাদ্দ জারি করবে বলেই বিশ্বাস।

জীবনে প্রথম হজে গমন : যাদের বাৎসরিক আয় অনুর্ধ্ব দু’লক্ষ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে

যাদের বয়স ৬০ বছর থেকে ৬৭ বছরের উর্ধ্বে নয় এমন বয়সের হতে হবে (ভিন্ন শর্ত হতে পারে)। যথাযথ কর্তৃপক্ষের সনদ (সংযুক্ত করে দিতে হবে আবেদন পত্রে)
শর্তপূরন সাপেক্ষে যোগ্যতা সম্পন্ন ৫০,০০০ আবেদনকে প্রাথমিকভাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এর মধ্য থেকে বয়ঃজ্যেষ্ঠ এবং অর্থনৈতিকভাবে অস্বচ্ছলদেরকে অগ্রাধিকার তালিকায় রাখতে হবে।

বাস্তবায়ন এবং তদারকির বিষয়ে- ধর্ম মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা/ কর্মচারিদের সমন্বয়ে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা এবং সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে সার্বিক কাজ তদারকির জন্য আর একটি কমিটি গঠন করা যেতে পারে। বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পট পরিবর্তন এবং স্মরণ কালের বন্যার বিষয়টি গুরুত্বের সংগে তুলে ধরে সৌদি সরকারকে যাবতীয় সার্ভিস চার্জ ওয়েভার দেয়া তা না হলে অন্তত যেন অর্ধেক মওকুফ করা হয় সে মর্মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জোড়ালো দাবি উত্থাপন করা যেতে পারে।

ব্যয় সংকোচনে সম্পূরক প্রস্তাব- উমরা ফেরৎ হাজিদের বিমানকে প্রথম হজ ফ্লাইট করা সম্ভব হলে বিমানকে খালি দেখিয়ে যেন আড়াই গুণ (২.৫) ভাড়া গুনতে হয় না । উমরা এবং হজের সমন্বয়ে পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হলে ২/১ বছর একটু কষ্ট হলেও পরবর্তীতে হজ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

প্রথম পর্যায়ে যাকাত ফান্ড যে ভাবে গঠিত হতে পারে-

১. সরকারের থোক বরাদ্দ অনুদান

২. ইসরলামী দাতা সংস্থার অনুদান

৩. বার বার যারা হজ্জ/উমরা করেন তাদের অনুদান

  1. বিত্তবানদের অনুদান

৫. বিভিন্ন সংস্থার পক্ষথেকে অনুদান ও বিবিধ

এ বছর নয়, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার প্রস্তাবনা-

হজ ব্যবস্থাপনা সহজীকরণ প্রস্তাবনা- ১: প্রথমেই তাওয়াফ পদ্ধতি এবং ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোকপাত করা যায়- কাবা ঘর তাওয়াফ করার প্রচলিত পদ্ধতি নীতি নৈতিকতা পরিপন্থি বলা হলে তা অতি রঞ্জন বলা হবে না । নারী-পুরুষ উর্ধ্ব শ্বাসে বেপরোয়া ভংগিতে গায়ে গায়ে মিলেমিশে একাকার হয়ে ঘুরতে থাকে কখনও পরে গিয়ে পদদলিত হয় আবার উঠে দাড়ায় কেউ বা উঠতে সাহায্য করে। কাবার গিলাফ ছুইতে এবং কালো পাথর চুম্মন করার জন্য প্রান ওষ্ঠাগত হতে হয় একজন সক্ষম সুঠাম দেহের অধিকারী পুরুষের। অবশিষ্ঠদের প্রসংগ অবান্তর। অনেককেই দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন অপূর্ন রেখে ভংগ্ন হৃদয় দেশে ফেরৎ আসতে হয়। কোন ভাবেই শৃংখলায় আনার কার্যকারী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। তবে এ রকমের তওয়াফ শরীয়ার স্বীকৃতি মিলেছে। কোন প্রতিবাদ, কোন প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় না। মনে হচ্ছে এটিই ধর্মের বিধান। প্রকৃতপক্ষে এটি অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা ব্যতীত আর কিছুই নয়। অথচ এটিকে শৃংখলায় আনা কোন জটিল কাজ নয়।

প্রস্তাবনা-

১. কাবার ৭৯ নং কিং ফাহাদ গেটটি তাওয়াফ জন্য প্রবেশ পথ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে

২. কাবার চতুর্দিকে মশার কয়েলের মত করে ৭টি +১টি ৮টি গোলাকার বিন্তু স্থাপন করা

৩. ৮ম বিন্তু দিয়ে প্রথমে এক এক জন করে প্রবেশ করাতে হবে অতঃপর ১ম বিত্তে পৌঁছে পরিভ্রমনের নির্দিষ্ট স্থানে কাবার গিলাপে হাত বুলানো অতঃপর কালো পাথরে চুম্মন করে তওয়াফ শেষ করা-

৪. কাবার হজরে আসওয়াদের সুবিধা জনক স্থানে বেড়িয়ে যাবার সুরংগ পথের ব্যবস্থা করতে হবে। তাওয়ার শেষে সুরংগ পথ ধরে কিং ফাহাদ গেটের উল্টদিক দিয়ে বেড়িয়ে যাবার ব্যবস্থা করা-

৫. গোলাকার বিত্তের পুরো কাঠামোটি ইলেক্ট্রটিক সুইজ সিস্টেম ব্যবহার করে আন্ডার গ্রাউন্ডে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে করে নামাজের সময় বিত্তটি আন্ডার গ্রাউন্ডে রেখে নামাজ আদায় করা যায় আবার নামাজ শেষে উপরে তুলে আগের মত করে তওয়াফ শুরু করা যায়-

৬. জমজম পানি সরবরাহ ব্যবস্থা আরও আধুনিকী করন করতে হবে-

৭. রাসুল (স.) এর বাস ভবন মর্মে যে ঘরটির পরিচয় করে দেয়া হয় সেটি না আধুনিক না পৌরনিক। যে কোন গ্রহনযোগ্য স্থাপনা হিসেবে উন্নীত করা উচিত-

৮. বর্তমান কাবা ঘরের বহুবিধ সংস্কার প্রয়োজন। নির্দিষ্টকরে বলার কিছুই নেই- বলতে গেলে পুরোটাই

১৯. একটু লক্ষ করলেই বুঝা যায় যে, কাবার সকল অবকাঠামো যেন এড হক ভিত্তিতে করা হয়েছে যা কোন নির্দিষ্ট পরিকল্পনার ভিত্তিতে করা হয়নি।

১০.কাবার আর একটি অর্থ উঁচু। বর্তমানে কাবার চত্তর ঘেষে চর্তুদিকে সুউঁচু হোটেল নির্মিত হয়েছে। ভুবনগুলো এত বিলাস বহুল যা কাবার মান মর্যাদা, ভাব গাম্ভিষ পরিবেশ এবং ঈমানদারদের ধর্মীয় অনুভুতির পরিপন্থী।

১১. চৌদ্দশত বছর পরে ক্রমবর্ধনশীল মুসলিম জাতির অগুনিত মুসলমান প্রতিনিয়ত উমরা আদায় করছেন। বর্তমান কারা এবং কাবার মসজিদে মুসুল্লীদের একমোডেশন হচ্ছে না। হজ মৌসুমে মক্কা মদিনার সার্বিক পরিস্তিতি নিয়ন্তনের বাইরে চলে যায়। তখন সালাত কাবার দেড়। দুই কিলো মিটার দূর পর্যন্ত রাস্তা ভবনের আঙ্গিনায় দাড়িয়ে জামাতে সামিল হতে হচ্ছে। কাবার চতুদিকে উন্মুক্ত জায়গায় রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সালাত আদায় করতে হয়।

দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থাপনার প্রস্তাবনা – ২

১. সরকারি একটি স্থায়ী হজ প্রশাসনির কাঠামো তৈরি করা

২. মক্কা মদিনাতে নিজস্ব ভবনে স্থায়ী মিশন খোলা

৩. সৌদি সরকারের নিকট হতে ৯৯ বছরের জন্য জমি ইজারা নেয়ার উদ্যগ গ্রহন

৪. প্রতি বছর হজে এক লক্ষ হাজির আবাসনের ব্যবস্থা করা (বহুতল ১০টি ভবন যথেষ্ট হতে পারে)

৫. ভবনগুলো হজ- উমরায় সারা বছর ব্যবহৃত হবে আবার সাধারন হোটেল হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে

৬. কারা এবং মসজিদে নববীর নিকটবর্তী অব্যবহৃত জমি এবং পুরাতন আবাসিক এলাকা অধিগ্রহন করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের বসবাসের জন্য কাবা (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর অদুরে মনোরম পরিবেশে আধুনিক সুয়োগ সুবিধা সম্বলিত আবাসিক এলাকা গড়ে তোলার এখনও যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

৭. বাংলাদেশ সরকার জমি এবং নির্মান কাজের যাবতীয় ব্যয় বহন করবে অথবা সৌদি সরকার নিজ অর্থায়নে হোটেল নির্মান করে দীর্ঘ মেয়াদী ইজারা মূল্যে ব্যবহারের সুযোগ করে দিবে।

৮. বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিয়ে এগুতে পারে -এর ব্যত্যয় হলে প্রতিবছর বাসা ভাড়া সাধ্যসীমার বাইরে চলে যাবে। ঢাকা থেকে বারবার একাধিক টিম পাঠিয়ে মক্কা, মদিনা বাসা ভাড়া বাবদ কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতেই হবে। যার ব্যয় ভার সরকারকে হাজিদেরই বহন করতে হচ্ছে।

৯. হাব এর কার্যক্রম ধীরে ধীরে সীমিত করে আনতে হবে। হাজিদেরকে তাদের সম্পূর্ন ব্যবস্থাপনায় ছেড়ে দেয়া যাবে না। কোন কোনে এজেন্সি থার্ড ফোর্থ পার্টি হিসেবে পারস্পরিক যোগসজসে হাজিদেরকে নানা ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।

১০. হজ উমরা পালনকারী প্রধান ৭টি কিংবা ১০ টি দেশ একত্রে জোট বন্ধু হয়ে সৌদি সরকারের নিকট জোড়ালো যৌক্তিক দাবী জানাতে পারে। উল্লেখ্য যে, হজ-উমরা পালনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ৫ম কিংবা ৬ষ্ঠ স্থানে।

মুসলিম উম্মার জন্য প্রস্তাব-

১. তিন মাসে তিনটি হজ পর্বের আয়োজন করা শরীয়াহ কিংবা ইসলামী মুলনীতির পরিপন্থি কিনা তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্মেলন ডাকা যেতে পারে।

২. সময় এবং অবকাঠামো বিবেচনায় নেয়া এবং সুরা বাকারা ১৯৭ আয়াতের এর মর্মানুযায়ী কোন ত্রুটি হবে মর্মে দেখা যায় না হজ রোজার মত সুনির্দিষ্ট মাস হিসেবে আল্লাহ ঘোষণা দেননি। বলা হয়েছে হজের মাস সমূহে যারা হজ পালন করবে তারা স্ত্রী সহবাস, ব্যভিচার, মারামারি বারাবারি করা থেকে বিরত থাকবে-

৩. বিষয়টি আবেগ নয়, বিবেক দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যেন যুক্তি নির্ভর যুগোপযোগী সিস্তা গৃহীত হয়।

৪. ফলে মুসলিম উম্মাহা সীমাহীন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে মর্মে আশা করা যায়।

AH/ Daily Bogra Times

আরো খবর
dbt
© All rights reserved by Daily Bogra Times  © 2023
Theme Customized BY LatestNews