1. dailybogratimes@gmail.com : dailybogratimes. :
হাসিনার শাসনামলে বছরে গড়ে পাচার ১৬ বিলিয়ন ডলার » Daily Bogra Times
Logo বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
অনেক ষড়যন্ত্র চলছে, অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে : তারেক রহমান দেশকে অস্থির করার চেষ্টা চলছে, সবাইকে একজোট থাকতে হবে : ড. ইউনূস ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে শেরপুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ রাণীনগরে কৃষি ঋণ মেলার সমাপনি অনুষ্ঠিত শার্শায় উদ্বোধণ হলো ‘স্বস্তির বাজার’ কমবে নিত্যপণ্যর দাম পত্নীতলায় শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবসের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে  রংপুরের বদরগঞ্জে কৃষি জমির মাটি বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায় লালমনিরহাটে আদালতের রায় অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা থানায় অভিযোগ  নীলফামারীর ডিমলায় ট্রাক্টরের চাপায় শিশু মৃত্যু সুন্দরগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস ও বিজয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতি সভা বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি ও পাসপোর্টযাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রাণীনগরে ধানের বীজ বিতরনের উদ্বোধন বগুড়ার সোনাতলায় সাবেক মেয়র গ্রেপ্তার সাগরে ইলিশ না পেয়ে হতাশ জেলেরা, বাড়বে দাম বাংলাদেশ আগের পররাষ্ট্রনীতিতে আর নেই: মুশফিকুল ফজল

হাসিনার শাসনামলে বছরে গড়ে পাচার ১৬ বিলিয়ন ডলার

নিউজ ডেস্কঃ-
  • রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪
হাসিনার শাসনামলে বছরে গড়ে পাচার ১৬ বিলিয়ন ডলার
print news

আর্থিক খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে

আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রতিবেদনটি ড. ইউনূসের হাতে তুলে দেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রতিবছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে।

প্রেস সচিব বলেন, শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনে অর্থনীতির প্রতিটি খাত ধরে ধরে আলাদা বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে, উন্নয়নের গল্প সাজাতে কীভাবে পরিসংখ্যানকে ম্যানুুপুলেট করা হয়েছে। উন্নয়নের গল্প শোনানো হলেও ভেতরে ভেতরে ছিল লুটপাটের এক মহাযজ্ঞ।

প্রতিবেদন গ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই প্রতিবেদন আমাদের জন্য একটা ঐতিহাসিক দলিল। আর্থিকখাতে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তা ছিল একটা আতঙ্কিত হওয়ার বিষয়। আমাদের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে কিন্তু কেউ এটা নিয়ে কথা বলিনি।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস এই যুগান্তকারী কাজের জন্য কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এটি চূড়ান্ত হওয়ার পর জনসাধারণের সামনে প্রকাশ করা উচিত এবং স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষার্থীদের পড়ানো উচিত।’

সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়াই কমিটি স্বাধীনভাবে কাজ করেছে বলে জানান শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

তিনি বলেন, ‘সমস্যাটি আমরা যতটা ভেবেছিলাম তার চেয়েও গভীর। এই ৩০ অধ্যায়ের ৪০০ পৃষ্ঠার দীর্ঘ শ্বেতপত্রে উঠে এসেছে কীভাবে ক্রোনি পুঁজিবাদ অলিগার্কদের জন্ম দিয়েছে, কীভাবে তারা নীতি প্রণয়নকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।’

কমিটির সদস্য ড. মুস্তাফিজুর রহমান জানান, তারা ২৯টি প্রকল্পের মধ্যে সাতটি বড় প্রকল্প পরীক্ষা করে দেখেছেন প্রতিটিতে ১০ হাজার কোটি টাকা করে বেশি ব্যয় হয়েছে। ২৯টি বড় প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ৮৭ বিলিয়ন ডলার বা ৭,৮০,০০০ কোটি টাকা।

পরীক্ষা করা সাতটি প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ছিল ১,১৪,০০০ কোটি টাকা। অতিরিক্ত উপাদান যোগ করে, জমির দাম বেশি দেখিয়ে এবং ক্রয়ের ক্ষেত্রে হেরফের করে প্রকল্পের ব্যয় সংশোধিত করে ১,৯৫,০০০ কোটি টাকা করা হয়।

তিনি বলেন, ব্যয়ের সুবিধা বিশ্লেষণ না করেই প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৭০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।

অর্থপাচারে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে বিচারকাজ শুরুর পরামর্শও দেন তিনি।

কমিটির আরেক সদস্য অধ্যাপক এ কে এনামুল হক বলেন, গত ১৫ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ৭ লাখ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে এবং এর ৪০ শতাংশ অর্থ আমলারা লুটপাট করেছে।

কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবু ইউসুফ জানান, বিগত শাসনামলে কর অব্যাহতির পরিমাণ ছিল দেশের মোট জিডিপির ৬ শতাংশ। এটি অর্ধেকে নামিয়ে আনা গেলে শিক্ষা বাজেট দ্বিগুণ এবং স্বাস্থ্য বাজেট তিনগুণ করা যেতে পারত।

কমিটির আরেক সদস্য এম. তামিম বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। ১০ শতাংশ যদি অবৈধ লেনদেন ধরা হয় তাহলে এর পরিমাণ হবে কমপক্ষে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন সাথী, সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ।

প্রতিবেদনটি শিগগিরই সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হবে বলে কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

‘বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে শ্বেতপত্র’ শিরোনামের প্রতিবেদনে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক ভারসাম্য, ব্যাংকিং খাতের পরিস্থিতি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি, সরকারের ঋণ, পরিসংখ্যানের মান, বাণিজ্য, রাজস্ব, ব্যয়, মেগা প্রকল্প, ব্যবসার পরিবেশ, দারিদ্র্য ও সমতা, পুঁজিবাজার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী ও জলবায়ু ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ রয়েছে। কমিটি পদ্মা সেতু, রেল সংযোগ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও কর্ণফুলী টানেলের মতো মেগা প্রকল্পগুলোর ওপর তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে।

AH/ Daily Bogra Times

আরো খবর
dbt
© All rights reserved by Daily Bogra Times  © 2023
Theme Customized BY LatestNews