সরবরাহ কমের অজুহাতে দুদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা। হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকাররা। তবে ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে যার কারণে খুব একটা দাম বাড়বে না বলেও জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ইন্দোর ও বেলোরি এই দুই জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। দুদিন আগেও বন্দরে প্রতি কেজি ইন্দোর জাতের পেয়াজ ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া সাউথের বেলোরি জাতের পেঁয়াজ ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও শনিবার তা বেড়ে ১০২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। শনিবার বন্দর দিয়ে ৩৪টি ট্রাকে ৯৯১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা সাদ্দাম হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার বন্দর থেকে ইন্দোর ও বেলোরি জাতের পেঁয়াজ ক্রয় করে মোকামে পাঠিয়েছিলাম ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। আর শনিবার বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে এসে হতবাক পেঁয়াজের দাম চাচ্ছে ৯৫ টাকা থেকে ১০২ টাকা দরে। হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেশি পেঁয়াজ কিনতে এসে তো বিপাকের মধ্যে পড়ে গেলাম। এছাড়া দাম বাড়ার কারণে মোকামে যারা পেঁয়াজ কিনতেন তারা অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে আমদানি অব্যাহত রেখেছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। তবে ভারতের যেসব অঞ্চলে পেঁয়াজের উৎপাদন হয় সেসব অঞ্চলে অতিবৃষ্টি ও বন্যার ফলে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে করে ভারতের বাজারেই পণ্যটির সরবরাহ কমার সাথে সাথে দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। যার কারণে আমাদের বাড়তি দামে পেঁয়াজ কিনে আমদানি করতে হচ্ছে। এছাড়াও চাহিদামতো পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না যার কারণে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় দেশের বাজারে পণ্যটির দাম বাড়ছে। সেই সাথে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকার কারণে আমদানিকৃত পেঁয়াজের চাহিদা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে যার কারণেও দাম বাড়ছে।
অপর আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে কিন্তু দেশের বাজারে যে পেঁয়াজের চাহিদা সেই মোতাবেক ঢুকছে না। মূলত ভারতে বন্যার কারণেই পেঁয়াজের দাম উল্টাপাল্টা হচ্ছে। তবে ভারতের পাশাপাশি মিশর, পাকিস্তান, তুরস্ক, চীন থেকেও পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। এতে পেঁয়াজের দাম যা বাড়ছে এর চেয়ে খুব একটা বাড়বে না।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে নিয়মিতভাবে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে তবে আমদানির পরিমাণ উঠানামা করছে। পেঁয়াজ আমদানির পর আমদানিকারকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা সম্পূর্ণ করে রিপোর্ট দেওয়া আছে। যাতে আমদানিকারকরা দ্রুত বন্দর থেকে পেঁয়াজ খালাস করে নিতে পারেন।