হিলি (দিনাজপুর) প্রতিবেদক: দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে রেলওয়ে ব্রীজের সংস্কার কাজে বিএসএফের বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে বিজিবি বলছে, বিএসএফের বাধা দেওয়ার কথা নয়। তারপরেও কেন তারা এমন করছে ঘটনাটি আলোচনা করে দেখা হচ্ছে। স্থানীয়রা বলেন, কয়েকদিন ধরে আমাদের ধরন্দা গ্রামের কয়েক গজ পশ্চিমে সীমান্তবর্তী রেলওয়ে ব্রীজের সংস্কার কাজ শুরু হয়। সেখানে ইট-বালু দিয়ে কাজ করা হলে গতকাল শনিবার বিকালে বিএসএফ সদস্যরা ঘটনাস্থলের কাছে এসে কাজ বন্ধ করতে বলে। এসময় শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে চলে যায়।
হিলি রেলওয়ের টাইম কিপার আরাফাত রহমান বলেন, হিলি সীমান্তের ধরন্দা গ্রাম সংলগ্ন রেলওয়ে ব্রীজের নীচের অংশে পাথর সরে দেবে যায়। একারণে ট্রেন ঝুঁকিপূর্ন ভাবে চলাচল করায় গত ৭দিন আগে রেলওয়ে বিভাগ থেকে সংস্কার কাজ করার উদ্যোগ নেয়। এরপর থেকে শ্রমিকেরা এই সংস্কার কাজ শুরু করে আসলেও গতকাল শনিবার বিকালে কোন কারণ ছাড়াই ভারতের হিলির বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা এতে বাধা দেয়। এরফলে ব্রীজের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি আমাদের উদার্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি স্থানীয় হিলি বিজিবি ক্যাম্পে জানানো হলে তারা গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বিএসএফের সাথে আলোচনা করে। এরপর বিজিবির পক্ষ থেকে কাজ শুরু করার কথা বলে। কিন্তু কাজ করতে গেলে বিএসএফ বাধা দিচ্ছে। একারণে শ্রমিকেরা সেখানে কাজ করতে চাচ্ছে না। আবারও বিজিবিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
হিলি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জয়ন্ত কুমার দাস জানান, শুনেছি বিএসএফ ব্রীজের সংস্কার কাজ করতে দিচ্ছে না। এরফলে এই রেলপথ দিয়ে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, নীলফামারী ও পঞ্চগড়গামী ট্রেন ব্রীজের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ব্রীজের কাজ দ্রুত সংস্কার করা দরকার।
এবিষয়ে জয়পুরহাট ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. নাহিদ নেওয়াজ পিএসসি বলেন, কিছুদিন আগে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে আমাদের জানায় তারা ধরন্দা রেলওয়ে ব্রীজের সংস্কার কাজ শুরু করবে। সে অনুয়ায়ী গত ৩০ জানুয়ারি বিএসএফের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে মিটিংয়ে বিষয়টির ব্যাপারে বিএসএফকে জানানো হয় এবং তারা আপত্তি করবে না বলে জানায়। কিন্তু ওই বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তারা অন্যত্র বদলি হয়ে যাওয়ায় এমনটি হয়েছে। যারা নতুন এসেছে আমরা তাদের সাথে আলোচনা করছি। দ্রুত কাজ শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে আজ রোববার বিজিবি ও বিএসএফ’র মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।