শিবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ একটি নিম্নমধ্য আয়ের দেশ। এই নিম্ন আয়ের দেশের বড় একটি সমস্যা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। বাংলাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারনে এইখানে অনেক পরিবার ৩ বেলা ভালো খাবার আগেও খেতে পারেনি, এখনো পারছেন না।
নিম্ন আয়ের বাংলাদেশের মানুষের রোগব্যাধি থেকে মুক্তির জন্য ঔষধ সেবন করার সুযোগ টুকুও ধরা ছোঁয়ার বাইরে। লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলছে ঔষধের দাম।
বাংলাদেশের ব্রান্ড ঔষধ কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশকিছু ভালো কোম্পানি আছে।
সম্প্রতি একটি কোম্পানির একটি প্রয়োজনীয় ব্যাথানাশক ঔষধ “টোরাক্স ১০” ট্যাবলেটের দাম বাড়িছে। আগে এই ঔষধটির প্যাকেটের দাম ছিল ৬০০ টাকা। এক প্যাকেটে ৫০টি ঔষধ থাকে।
চলতি বছর আগস্ট মাসে এ ঔষধটি উৎপাদন করা হয়েছে এবং মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০০ টাকা।
আগে ছিলো ৬০০ টাকা হঠাৎ করেই ৪০০ টাকা বৃদ্ধি করে ১ হাজার টাকা মূল্যে নির্ধারন করায় নেট দুনিয়ায় ও সচেতন মহলকে আলোচনা-সমালোচনা করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে ফার্মেসি ও ভোক্তাদের মধ্যে।
এক ফার্মেসি বিক্রেতা জানান – হঠাৎ করে এতো মূল্য বৃদ্ধির ফলে বিপাকে পড়েছি এবং ক্রেতাদের কাছে জবাব দিহিতা করতে হচ্ছে ।
মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে স্থায়ীয় এক চিকিৎসক বলেন- প্রতিনিয়ত ঔষধের দাম বাড়ছে , এতে করে নিম্ন আয়ের মানুষেরা রোগব্যাধি থেকে মুক্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি করা প্রয়োজন বলে মনে করছি।
এ বিষয়ে এই ঔষধ কোম্পানির স্থানীয় কোন কর্মকর্তা বা বিক্রয় প্রতিনিধি বক্তব্য দিতে রাজি হননি।