সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে জসিম মিয়া (১৬) নামে এক কিশোরকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সামরুজ্জামান ও তার স্ত্রী লাভলীকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত জসিম ও অভিযুক্ত সামরুজ্জামান সম্পর্কে মামাতো-ফুতাতো ভাই।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের পাঁচপীর বাজারের (ময়নার মোড়) উত্তর পাশের পাকা রাস্তার নিচে থেকে জসিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত জসিম মিয়া চন্ডিপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। জসিম চন্ডিপুর স্কুল এন্ড কলেজে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের ডেন্টাল চিকিৎসক ডা. ফুয়াদ হাসানের কর্মচারি হিসেবে কাজ করতেন জসিম।
আটক সামরুজ্জামান (৩০) একই গ্রামের মৃত্যু মতিন মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় কৃষি কাজ করেন।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, জসিম ও সামরুজ্জামান সম্পর্কে মামা-ফুপাত ভাই। উভয়ের বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় জসিম প্রায়ই সামরুজ্জামানের বাড়িতে যাওয়া-আসা করতো। কয়েকদিন আগে স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে জসিমকে মারধর করে সামরুজ্জামান। বুধবার বিকেলে জসিম বাজারে গিয়ে রাতে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। জসিমকে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধরের পর গভীর রাতে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ সড়কের পাশে ফেলা রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।
নিহত জসিমের বাবা আব্দুস সালামের অভিযোগ, সামরুজ্জামান কয়েকদিন ধরেই জসিমকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। শেষ পর্যন্ত সামরুজ্জামান তার ছেলে জসিমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সন্দেহের জেরেই জসিমকে হত্যা করে সামরুজ্জামান। এ ঘটনায় সামরুজ্জামানের ফাঁসির দাবি জানান তিনি।
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর কথা জানান সুন্দরগঞ্জ থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) মো. মমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযুক্ত সামরুজ্জামান ও তার স্ত্রী লাভলীকে আটক করা হয়েছে। হত্যার রসহ্য উন্মোচনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়েরের পর যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।