ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর ধামইরহাটে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়সহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার “ধামইরহাট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের” সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক গ্রুপে একটি পোষ্ট দেওয়া হয়। একারণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক গ্রুপে ওই কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হলে জনমনে স্বস্তি ফিরে আসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলেন, “আমাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে কে বা কারা হুমকি প্রদর্শন করছে। কিন্তু চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা দাবিও করেন। না দিলে সব পুড়িয়ে ফেলবেন বলে জানান।”
সরোজমিনে আজ সকাল থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপজেলায় কোন রকম অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে দেখা যায়নি। এতে করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতাকর্মী সমর্থক ও স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তির লক্ষ্য করা গেছে।
ধামইরহাট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “ধামইরহাটে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও জনগণের নিরাপত্তা এবং জানমালের ক্ষতি এড়াতে আজ (শুক্রবার) বিকেল তিনটায় আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির বিপক্ষে যে বুলডোজার মিছিল হওয়ার কথা ছিল তা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। এবং আজ সন্ধ্যায় এ বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে একটি প্রেস ব্রিফিং দেওয়া হবে।
ফেসবুক গ্রুপে বুলডোজার কর্মসূচি প্রত্যাহার ঘোষণা করে ধামইরহাট শাখা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা বলেন, “আজকের প্রোগ্রামে ৩য় পক্ষ সুযোগ নিয়ে যে বিপুল পরিমান লুটপাট ও ব্যক্তিগত আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতো তাঁর দায়ভার ছাত্রসামজকে নিতে হতো। ছাত্রসমাজ এধরণের কর্মকাণ্ডকে কখনোই সমর্থন করে না।
গ্রুপে আরও বলা হয়, “এ কারণে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক আজকের কর্মসুচি স্থগিত করা হলো। সেই সাথে যদি কেউ বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের নামে কোন রকম বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
এবিষয়ে ধামইরহাট শাখা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি রিফাতুল হাসান সৈকত বলেন, “কোন একটি পক্ষ আমাদের সঙ্গে মিশে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করার জন্য সুযোগ নিচ্ছিল। তাঁদের কাজই হলো কোন দল বা সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে লুটপাট, চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করা। তারা যেন সেই আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে না পারে এবং সেই সাথে জনগণ ও রাষ্ট্রীয় কোন সম্পদের ক্ষতি করতে না পারে এ কারণেই আমাদের এই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।”