1. dailybogratimes@gmail.com : dailybogratimes. :
পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে আদমদীঘির কৃষক » Daily Bogra Times
Logo রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
নওগাঁর ধামইরহাটে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণ-সভা অনুষ্ঠিত পাঁচবিবিতে বণিক সমিতির নতুন কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন  যশোরের শার্শায় এক কেজি গাঁজাসহ আটক-২ সারিয়াকান্দিতে আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতিতে ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত সারিয়াকান্দিতে মহিলাদলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামী দেশ ও দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে-অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার  সিরাজগঞ্জে কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত নারী শ্রমিকরা গণপ্রকৌশল দিবস-২৪ ও আইডিইবি’র গৌরবোজ্জ্বল ৫৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন  সিংড়ায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার রাজশাহীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বন্ধে কঠোর হুশিয়ারি যুবদল নেতা রবি’র সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ সিংড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মীশিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত বগুড়ায় কাঁচা মরিচ উঠানো শুরু, কমবে দাম

পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে আদমদীঘির কৃষক

মোঃ রবিউল ইসলাম (রবীন) আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
  • সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০২৩
print news

পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে আদমদীঘির কৃষক ।

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ দেশের শষ্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত বগুড়ার জেলা ধান উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। এক সময় এই জেলায় পাট চাষ হতো ব্যাপক। কিন্তু নায্যমুল্য না পাওয়ায় পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন এ জেলার কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় পাট চাষের কোন লক্ষমাত্রা নেই। কিছু কৃষক ঝুঁকি নিয়ে পাট আবাদ করেন। পাটের তুলনায় অনান্য আবাদ লাভজনক বলে কৃষকরা এই আবাদ করতে চায় না। সান্তাহার ইউনিয়নের ছাতনি-ডেকড়া,প্রান্নাথপুর, সান্দিড়া প্রভৃতি গ্রামগুলিতে কৃষক পাট চাষ করে থাকে।

উপজেলার নশরৎপর ইউনিয়নের কৃষক গোলাম রব্বানী বলেন, গত দুই বছর দুই বিঘা জমিতে পাট চাষে করে তাঁকে লোকসান গুনতে হয়েছে। তাই এই বছর তিনি পাটের আবাদ করেননি। তিনি আরো বলেন,পাট চাষে অনেক শ্রম দিতে হয়। উৎপাদন খরচও বেশি। এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে বীজ বপন থেকে শুরু পাটের আঁশ ছড়িয়ে শুকানো পর্যন্ত ১৪-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। এক বিঘা জমিতে ভালো ফলন হলে ১০ মন পাট হয়। এই হিসাবে এক মন পাটের দাম ২ হাজার টাকার বেশি হওয়া দরকার। কিন্তু গত বছর পাটের দাম ছিল ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা পর্যন্ত।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাষি জাহাঙ্গির খান বলেন,’পাট চাষের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় পাটের দাম পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে নতুন করে পাট চাষে আগ্রহ নেই। তারাপরও আমরা চাষি মানুষ। চাষ করতে হয় আমাদের। এ বছর ৩০ শতক জমিতে পাটের আবাদ করেছি। দাম ভাল পেলে আগামী বছর পাট চাষে আগ্রহ বাড়বে। আর লোকসান হলে বিকল্প চিন্তা করতে হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিঠু চন্দ অধিকারী বলেন, কৃষকদের পাট চাষে আগ্রহ হারানোর পেছনে নায্যমূল্য না পাওয়া অন্যতম কারণ। আরো কারণ রয়েছে; এ বছর পাটের বীজ বপণের সময় মে মাসে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। যেমন ফলে নিচু জমিগুলিতে পানি জমে যাওয়ায় অনেক কৃষক বীজ বপণ করতে পারেননি। তা ছাড়া আদমদীঘি উপজেলায় পাট জাগ দেওয়ার জায়গার সংকট রয়েছে। তা বৃষ্টি না থাকায় পাট জাগ দিতেও পারছে না কৃষক। এ সব কারনে পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা।

AH/ Daily Bogra Times

আরো খবর
dbt
© All rights reserved by Daily Bogra Times  © 2023
Theme Customized BY LatestNews