1. dailybogratimes@gmail.com : admin :
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ২৬৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার - Daily Bogra Times
শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বগুড়ায় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার পথে নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক ছুরিকাহত রোনালদোর ‘সর্বকালের সেরা’ মন্তব্য আর্জেন্টাইন তারকার আঠারোর নির্বাচনের এসপিদেরও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে: আসিফ মাহমুদ জাকির নায়েকের বক্তৃতার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো সরকার বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কে অটোভ্যানে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ৪ সাঁথিয়ায় পূর্ববিরোধের জেরে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ৮ জন আটক   তানোরে গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা  বদরগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার মান্দায় যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ২৬৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ২৬৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

মাসুদ রানা-
  • আপডেট সময়ঃ শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৩ Time View
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ২৬৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার
print news

মাসুদ রানা, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: সরকার ভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালনে পরিপত্র জারি করলেও শহীদ মিনার নির্মাণ করার ক্ষেত্রে তেমন কোন ভুমিকা পালন করছেন না বলেন সাহিত্যিক কঙ্কন সরকার । তার ভাষ্য শিক্ষার্থীরা বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য দিন দিন ভুলে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের মাঝে তেমন কোন সারা দেখা যাচ্ছে না।

১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে নির্মাণ করা হয় শহীদ মিনার। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আজও শহীদ মিনার নির্মানের ক্ষেত্রে সরকারি ভাবে কোন বরাদ্দ বা পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। সে কারণে অর্ধেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। সেই ধারাবাহিকতায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কারিগরি ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ৪১৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬৮ প্রতিষ্ঠানে নেই নিজস্ব ও স্থায়ী কোনো শহীদ মিনার। এতে করে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকে ২৫৯টি সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ৯০টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে। বাকী ১৬৯টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ১৫৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে নিন্ম মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠান ৮৮টি, মাদ্রাসা ৪৯টি, কলেজ ১৬টি ও কারিগরি ৬টি। সবমিলে শহীদ মিনার রয়েছে মাত্র ৫০টিতে।

মাদ্রাসা সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহ অত্যন্ত অবহেলিত। এরমধ্যে বিশেষ করে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা সমুহের অবস্থা শোচনীয়। অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে নেই কোন উদ্যোগ। প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি উদ্যোগে কোন কিছু নির্মাণ করা অত্যন্ত কষ্টকর । স্বদিচ্ছা থাকা সত্বেও অর্থ, পরিকল্পনা, নজরদারি, কর্তৃপক্ষের উদাসিনতার কারণে কোন কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সকল জাতীয় দিবস সমুহ যথাযথভাবে পালন করা হয়।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ বলেন, ২৫৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ইতিমধ্যে ৯০টি প্রতিষ্ঠানে স্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যে সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, স্বদিচ্ছার অভাবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহে শহীদ মিনার নেই। তবে শহীদ মিনার না থাকলেও দিবস সমুহ পালন করে থাকেন প্রতিষ্ঠান সমুহ। ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারি ভাবে প্রতিষ্ঠান সমুহে শহীদ মিনার নির্মাণ করা একান্ত প্রয়োজন।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ নাজির হোসেন বলেন, বিষয়টি ওইভাবে কখনো ভাবা হয়নি। আসলেই ভাষা ও স্বাধীনতার ইতিহাস ঐহিত্য ধরে রাখার জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শহীনদ মিনার থাকা আবশ্যক। খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

আরো খবর দেখুন
© All rights reserved © Daily Bogra Times/2025
Theme Customized BY LatestNews