“বন্ধু মিছিলে এসো ধরো স্লোগান, রুখো সন্ত্রাস-দখলদারিত্ব -শিক্ষা বানিজ্য” এই স্লোগান কে ধারণ করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বগুড়া জেলা সংসদের ৩৪ তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়া জেলা সংসদের ৩৪ তম সম্মেলনের উদ্বোধনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ঐতিহাসিক সাতমাথা মুক্তমঞ্চে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ৷
এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ফিজু, সিপিবি বগুড়া জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজ আহম্মেদ, সিপিবি বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড জিন্নাতুল ইসলাম,উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী বগুড়া জেলা সংসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুস সোবহান মিন্নু, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড হরিশঙ্কর সাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড নিমাই ঘোষ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়া জেলা সংসদের সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জননেতা কমরেড আমিনুল ফরিদ, ক্ষেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লিয়াকত আলী কাক্কু, সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি শুভ শংকর গুহ রায়, কৃষক সমিতি বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী শেখ,বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন বগুড়া জেলা কমিটির সহ সভাপতি মামুনুর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মেঘমল্লার বসু,বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের কোষাধ্যক্ষ নাজিফা জান্নাত,প্রমুখ।
মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন এর বিশেষ গেরিলা বাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধা জিন্নাতুল ইসলাম।
এ সময় জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলন উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়া জেলা সংসদের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি ছাত্রনেতা ছাব্বির আহম্মেদ রাজ, সঞ্চালনা করেন বগুড়া জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ রহমান।
বক্তারা এই সময় বলেন, “বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদী হাসিনা শাহী উৎখাত হলেও তার যে দোসররা তারা এখনো বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ইতোমধ্যেই ফ্যাসিবাদের সহযোগীদেরকে বিদেশে পালাতে প্রশাসনের মধ্যে থেকে সহযোগিতা করেছে।”
বক্তারা আরও বলেন, “২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি সেই সকল আহত ভাইবোনেরা সুচিকিৎসা এখনো পাচ্ছে না। তাই তাদের রাস্তায় নেমে চিকিৎসার জন্য কথা বলতে হচ্ছে। এটি খুব লজ্জাজনক। আহত পরিবারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
এছাড়া বক্তারা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দ্রুত সময়ের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেয়ার দাবি জানান।