ঈদে উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে অসম্পন্ন সড়কের পাশাপাশি নতুন যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে ফিটনেসবিহীন গাড়ি। শুধু রঙ পরিবর্তন করেই চলাচল অযোগ্য গাড়িগুলো নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে দূর পাল্লার যাত্রীবহনে।/ এ মুহূর্তে সড়ক নির্মাণ সমস্যার চাইতে ঝুঁকিপূর্ণ এ যানবাহনকেই গলার কাঁটা বলছে সড়ক বিভাগ ও হাইওয়ে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে গিয়ে দেখা গেলো সেখানে পুরাতন বেশ কয়েকটি গাড়ির রঙ করা হচ্ছে। ঠিকঠাক করা হচ্ছে বডির ভেঙে যাওয়া অংশগুলো।
গ্যারেজ মালিক সোলায়মান আলী বলেন, ‘এগুলো ঈদে যাত্রী পরিবহন করবে। এ কারণে দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ২০টির বেশি গাড়ি রং করে ডেলিভারি করেছি। /আমার মতো একাধিক গ্যারেজে এভাবে পুরাতন গাড়িতে নতুন রূপ দেওয়া হচ্ছে।
ফিটনেসবিহীন গাড়ির প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, আমরা গাড়ি চিহ্নিত করার কেউ নই। /এ কাজ পুলিশের ও বিআরটিএ কর্মকর্তাদের। তারা নিজেদের কাজ ঠিকমতো করুক। তাহলে মহাসড়কে এ যন্ত্রণা আর থাকবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোগান্তি কমাতে ২০১৯ সালে দুলেনের এ মহাসড়কে চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু করে সড়ক বিভাগ। যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের এপ্রিলে।/ দফায় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে সর্বশেষ চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা এ প্রকল্পের কাজ। তবে এখনো বেশ কয়েকটি স্থানে ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ চলমান থাকায় কাজ শেষ হয়নি।
এখনো দুলেনের যানবাহন চলছে এক লাইনে। /এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় গোবিন্দগঞ্জে এখনো নতুন সড়কের কাজ শুরু সম্ভব হয়নি। সেখানে সরু সড়কে একলেনে চলাচল করতে হচ্ছে প্রতিটি গাড়িকে। একইভাবে পলাশবাড়ি অংশে ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজেও কোনো অগ্রগতি নেই। এখন পর্যন্ত সেখানে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন করা যায়নি। ফলে রংপুর বিভাগে যাতায়াতকারী প্রতিটি যানবাহনকে এই অংশের যানজটের কবলে পড়তে হতে পারে এমনটিই আশঙ্কা করছেন চালক ও মালিকরা।
সাউথ এশিয়া সাব রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক হামিদুল হক বলেন, এখন কাজ দ্রুত চলছে। ঈদে আমরা বগুড়া অংশে চারমাথা এবং বারপুর অংশের আন্ডারপাসটি খুলে দেবো। এর কারণে যানজট অনেক কমে যাবে বলে আমরা মনে করছি।/ তবে মহাসড়ক থেকে ফিটনেসবিহীন অবৈধ গাড়িগুলো কমানো না গেলে যানজট রোধ সম্ভব নয়। কারণ গাড়িগুলোই সড়কের মধ্যে নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে এবং যানজট সৃষ্টি করে।
গত ঈদের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, তখন সড়কে ৫৬টি এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর ১৮টি গাড়ি নষ্ট হওয়ার রেকর্ড ছিল। গাড়িগুলো বেশিরভাগই মহাসড়কে চলার মতো উপযুক্ত নয়। /একটি গাড়ি নষ্ট হয়ে পড়ে থাকলে তার সামনে পেছনে বিশাল আকারে যানজট দেখা দেয়।