পাবনা প্রতিনিধিঃ- দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হলে সংস্থাটির স্বাধীনতা আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পাবনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন অভিযোগের গণশুনানি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোমেন জানান, দুদককে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কমিশন একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে। অনুমোদন পেলে দুর্নীতি প্রতিরোধে সংস্থাটি আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে দুদকের স্বাধীনতায় কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও, আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মাঠপর্যায়ে সরকারি সেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সবারই দায়িত্ব রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান জানান, অতীতে রাজনৈতিক স্বার্থে দুদককে ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবং যারা এটি করেছেন, তারা এর ফল ভোগ করেছেন। ভবিষ্যতে এসব থেকে শিক্ষা নিয়ে সংস্থাটিকে নিরপেক্ষ ও কার্যকর রাখার দিকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে। পাশাপাশি, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুর্নীতির মামলাগুলো নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হবে, সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ থাকলে তা চলমান থাকবে।”
গণশুনানিতে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, বেশিরভাগ অভিযোগ বাস্তবিক সমস্যার প্রতিফলন। অনেকগুলো সমাধান করা হয়েছে, কিছু বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মাঠপর্যায়ে সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হন, সে জন্য সেবাদাতাদের সতর্ক করা হচ্ছে। গণশুনানিতে ভূমি, স্বাস্থ্যসেবা, স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন সেবা নিয়ে হয়রানির ১৫২টি অভিযোগ উত্থাপিত হয়।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ, দুদকের মহাপরিচালক আখতার হোসেন, পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ডা. মনোয়ার উল আজীজ ও দুদকের বিভাগীয় পরিচালক কামরুল আহসান।
সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবিএম ফজলুর রহমান, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার ও সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলামসহ সরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষ।