সন্তানকে র্যাগিংয়ের অভিযোগে রেজিস্ট্রারকে মেইল করলেন ইবি শিক্ষার্থীর বাবা ।
ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নবীন এক শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগে রেজিস্ট্রার বরাবর মেইল করেছে ওই শিক্ষার্থীর বাবা। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে মেইলের কপি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে প্রক্টর অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে ওই শিক্ষার্থীর নাম মেইলে উল্লেখ করা হয়নি। তার পরিচয় এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ।
তিনি জানিয়েছেন, আজ দুপুর আড়াইটার দিকে রেজিস্ট্রার অফিস থেকে প্রক্টর অফিসে মেইলের কপিটি পাঠানো হয়েছে। আমরা মেইলের কপিটি পড়েছি। মেইলে র্যাগিংয়ের সাথে জড়িতদের নাম বা র্যাগিংয়ের শিকার হওয়া কোন শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করা হয়নি। শুধু উল্লেখ করা হয়েছে র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মেইল সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীর বাবা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ একটি মেইল করেন সেখানে তিনি বলেন, মাননীয় হাইকোর্ট ঘোষণা করেছেন যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং আইনত নিষিদ্ধ এবং কেউ এটি করলে শাস্তি পাবে এবং তার ছাত্রত্ব বাতিল হবে। অথচ আমার ছেলে গত সপ্তাহে র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছে এবং তার সাথে থাকা ৭-৮ জনও র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছে।
তিনি মেইলে আরও উল্লেখ করেন, আমার সন্তানকে শৃঙ্খলা শেখানোর জন্য ডাকে, তাদের ক্রিকেট খেলার সময় পানি বহন করিয়ে নেয়, মোবাইল চেক করে, এছাড়া আরও বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়। এর ফলে আমার ছেলে ভয় পায় এবং রাতে ঘুমায় না। আমি রেজিস্ট্রারের কাছে সাহায্য চাই এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার অনুরোধ জানায়।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর বাবা শওকত হোসেন মুঠোফোনে জানান, আমার সন্তানের সাথে যেটি ঘটেছে তা একজন পিতা হিসেবে আমি হতবাক হয়েছি। আমার পরিবারের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। আমার ছেলেসহ ৭-৮ জনকে তাদের ইমিডিয়েট সিনিয়র (২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের) শিক্ষার্থীরা টর্চার করেছে। এই মূহুর্তে আমার সন্তানের নাম আমি বলতে চাচ্ছিনা কারণ আমি চাইনা আমার সন্তান কোন বিপদে পড়ুক। আমি শিগগিরই ক্যাম্পাসে এসে এ বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কথা বলব।
এ বিষয়ে হিউমান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি শিমুল রায় বলেন, আমার বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ ধরনের কোন অভিযোগ আমি পাইনি। তাছাড়া কেউ আমাকে এমন কিছু বলেনি। তবে আমার মনে হয় না এ ধরনের কোন ঘটনা আমার বিভাগে ঘটার কথা। তবে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসানকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।