বাংলার মাটিতে আর কোনো পাতানো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না -মির্জা ফখরুল ।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,
ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সারাদেশের তরুণ সমাজ এবার জেগে উঠেছে। তাই এ সরকারের পতন ছাড়া আমরা আর ঘরে ফিরব না।
তিনি বলেন, ‘বারবার শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরেছি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। নির্বাচন হলে জনগণ ভোট দিতে পারে না, ভোট চুরি হয়ে যায়, ডাকাতি হয়ে যায়। সেই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া যায় না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন না করলে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না আমরা।বাংলার মাটিতে আর কোনো পাতানো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সে নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি আরোও বলেন, বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটক করে রাখা হয়েছে। এই অবৈধ সরকার এ দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। হাজার হাজার আলেম-ওলামাদের জেলে ভরে রেখেছে। ২০১৩ সালে ৫মে শাপলা চত্ত¡রে হেফাজত কর্মীদের উপর যে নির্মম পৈচাসিক হামলায় নিহতের ঘটনায় ‘অধিকার’ নামক সংগঠনের আদিলুর রহমানকে দুই বছরের সাজা দিয়েছে হাসিনার এই ক্যাঙ্গারুমার্কা আদালত। এছাড়া হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় নিম্ন আদালতে গেলে জামিন দেওয়া হয় না। মিথ্যা মামলায় দিনের পর দিন বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে রাখা হয়েছে। আজকে রোডমার্চ শুরু হলো, আর এ কর্মসূচি সেদিন শেষ হবে যেদিন এ সরকারের পতন হবে।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তারুণ্যের রোডমার্চ কর্মসূচি বগুড়া থেকে রাজশাহী যাওয়ার পথে আদমদীঘি উপজেলার পথ সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মুহিত তালুকদার এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস.এম জিলানী, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান।
অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগার তালুকদার হেনা, বগুড়া শহর বিএনপির সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, জেলা বিএনপির প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মাহফুজুল হক টি কন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম খান লিখন, সান্তাহার পৌর বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্ট সহ বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবকদল, যুবদল, তাঁতীদল, মৎস্যজীবিদল, শ্রমিকদল, ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।