মারচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাসেল স্বাবলম্বী হয়েছেন।
হারুন অর রশিদ, সুন্দরগঞ্জ গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা জেলা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৮ নং ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত হলদিয়া গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে রাসেল মিয়া (২৫) বেগুন, মরিচ, ফুলকফি ও লাউ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তিনি এ বছর উন্নত দেশী জাতের বেগুন মরিচ ফুলকপি ও লাউ চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন। রাসেল তার দুই বিঘা পতিত জমিতে হাইব্রিড জাতের বেগুন, মরিচ,ফুলকপি ও লাউ চাষ করে দারিদ্র্যতা মোচন করেছেন।
রাসেল জানান, প্রথমে গ্রামের কৃষকের সবজী চাষ দেখে নিজেও বাড়ির পাশের পতিত জমিতে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করার স্বপ্ন দেখেন। পরে স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শ ও পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা নিয়ে দুই বিঘা জমিতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে দেশী উন্নত জাতের (হাইব্রিড) বেগুন মরিচ ফুলকপি, ও লাউ চাষ করেন। তার জমিতে বেগুন, মরিচ,ফুলকফি ও লাউ ব্যাপক ফলন ফলেছে। বাজারে অন্যদের সবজি তুলনায় তার বিষমুক্ত বেগুন, মরিচ, ফুলকফি ও লাউ চাহিদাও প্রচুর।
রাসেল সাংবাদিককে জানান, দুই বিঘা জমি থেকে আমি প্রায় চার লাখ টাকার বেগুন, মরিচ,ফুলকফি ও লাউ বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি। সপ্তাহে তিনি ক্ষেতথেকে দুই থেকে তিন দিন করে বেগুন, মরিচ, ফুলকফি ও লাউ সংগ্রহ করেন। এবার শুরুতে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা মণে পাইকারি বিক্রি করেছেন। পাইকাররা বাড়িতে এসেই বেগুন মরিচ ফুলকফি ও লাউ কিনে নেন। তার দেখাদেখি এখন এলাকা অনেক কৃষক সবজী চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
স্থানীয় এক কৃষক আনিছুর রহমান বলেন, রাসেল বেগুন মরিচ ফুলকফি ও লাউ চাষে সফলতা পেয়েছেন। আমরা জমিতে ধান চাষ করে বছরে যে টাকা আয় করি তার চেয়ে সবজী চাষে অধিক লাভ করা সম্ভব। তাই আমরা সামনের বছর থেকে সবজী চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুল কবির বলেন, উপজেলায় এবার মোট ৩৮২হেক্টর জমিতে সবজী চাষ হয়েছে। কৃষিবিদ আরো বলেন সুন্দরগঞ্জের অনেক বেকার ছেলে আছে তারা যদি রাসেলের মতো নিজ ইচ্ছায় উদ্যোক্তা নেয় সুন্দরগঞ্জকে স্মার্ট সুন্দরগঞ্জ পরিণত সম্বব। রাসেল মিয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় মাস্টার্স সমাপ্ত করে সে কৃষির কাজে সফলতা অর্জন করেছেন বলে জানান।