খালেদা জিয়ার কিছু হলে আপনাদের কারো অস্তিত্ব বাংলাদেশে রাখবো নাঃ মির্জা আব্বাস ।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশে না পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় পরিণতি শুভ হবে না। খালেদা জিয়ার কিছু হয়ে গেলে আপনাদের কারো অস্তিত্ব বাংলাদেশে রাখবো না ।
সোমবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের আশু আরোগ্য কামনায় দোয়া মাহফিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি সরকারের প্রতি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।মিলাদ মাহফিলে সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে শামসুজ্জামান দুদু, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, খায়রুল কবির খোকন, জহির উদ্দিন স্বপন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নাজিম উদ্দিন আলম, ফজলুল হক মিলন, শিরিন সুলতানা, আসাদুর রহমান খান, এবি এম মোশাররফ হোসেন, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমি আবারো অনুরোধ জানাবো, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টা সময় চলে গেছে। আর ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে যেন দেশনেত্রীকে বিদেশে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য। একটা কথা আমি আবারও বলছি, এই অবস্থায় দেশনেত্রীর যদি কিছু হয়ে যায়- তাহলে আপনাদের কারো কোনো অস্তিত্ব বাংলাদেশে আমরা রাখবো না। আমি দুঃ খিত আমি একটু বোধহয় আবেগ প্রবণ হয়ে গেছি। তারপরও বলছি, আর সময় নষ্ট না করে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।
গত ৯ আগস্ট থেকে খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা বলেছেন, তার অবস্থা সংকটজনক। লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য তাকে দ্রুত বিদেশে পাঠানো জরুরি।
মির্জা আব্বাস অভিযোগ করে বলেন, আমরা আসলে বোকার স্বর্গে বসবাস করছি, আমরা বুঝতে পারিনি। যেদিন নেত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেদিন থেকেই তাকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়েছে। এই গ্রেফতার ছিল তাকে হত্যা করার জন্যে। এটা আমরা বুঝতে পারিনি। আমরা বুঝেছি তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অসুস্থ হওয়ার পরে আমরা বলা শুরু করেছি তিনি অসুস্থ হয়েছেন। আসলে উনাকে গ্রেফতার করে অসুস্থ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হবে এটাই ছিল তাদের প্ল্যান। সেই প্ল্যান এখন কার্য্কর করছে। আর তা না হলে কিভাবে অমানুষের মতো, অমানবিকতার মতো একটা কথা বলেন যে, খালেদা জিয়াকে বাইরে পাঠানোর কোনো সুযোগ নাই, আইনের জটিলতা আছে।
তিনি বলেন, একটা মানুষের জীবন বাঁচাতে পৃথিবীর কোনো আইন-টাইন কাজে লাগে না। যখন জীবন বাঁচোনোর প্রয়োজন হয় তখন তার জন্য যে চিকিৎসা দরকার- যেখানে চিকিৎসা দরকার, যেটা করা দরকার এটা হলো মানবিক এটা আইন। আন্তর্জাতিকভাবে জেনেভা কনভেনশনের একটা আইন আছে, সেই আইনে উনি চিকিৎসা পেতে পারেন। কিন্তু তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না।
আমরা আশা করছি সরকার এই সুযোগটা নেবেন যে, দেশনেত্রীকে বিদেশে তারা পাঠিয়েছেন এই সুযোগটা তারা নিতে পারেন।
কারাবন্দী নেতাদের বিদেশে পাঠানোর অতীত উদাহরণ তুলে ধরে মির্জা আব্বাস বলেন, গতকাল আমাদের মহা-সচিব বলেছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উনাকে বিদেশে পাঠাতে হবে। আজকে দেখলাম উনারা (সরকার) বলছেন, আইনের জটিলতা আছে।
নয়া পল্টনের কার্যালয়ের নীচতলায় ৯০‘র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য ও ছাত্র দলের সাবেক নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে অসুস্থ খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ।