বগুড়ার শেরপুরে (ঢাকা-বগুড়া) মহাসড়কে উল্টোপথে যানবাহন চলাচলের কারণে বেড়েই চলছে দুর্ঘটনা, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য খুবই উদ্বেগজনক। উল্টোপথে গাড়ি চললে একদিকে যেমন পথের সরলতা নষ্ট হয়, অন্যদিকে সড়ক নিরাপত্তার সমস্যাও সৃষ্টি হয়, এতে বাড়ছে মিত্যু ঝুঁকি।
সরেজমিনে দেখা যায়, শেরপুর শহরের উপজেলা মোড় হতে ধুনটমোড় পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ হওয়ায় ও রাস্তার মাঝে রোড ডিভাইডার থাকায় অটোরিকশা এবং ছোট যানবাহনগুলো রাস্তা পারাপার হতে ১ কিলমিটার ঘুরতে হয় যার কারনে নিয়মবহির্ভূতভাবে উল্টো পথে চলাচল করছে, ফলে সড়কে যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে । এছারাও ধুনট মোড় ও বাসস্ট্যান্ড এলাকার গুরুত্তপূর্ণ মোড়ে যাত্রি উঠানোর জন্য রাস্তার অর্ধেক বন্ধ রেখে যান চলাচলের ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে দেখা যায়।
ছোট যান চলাচলের জন্য মহাসড়কের উভয় পার্শে আলাদা লেন না থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন এক চালক।
স্থানীয়রা জানান, অটোরিকশাগুলো মহাসড়কে ট্রাফিক আইন না মেনে চলাচল করছে, যার ফলে সাধারণ যানবাহনগুলোর জন্য চলাচল কঠিন হয়ে পড়ছে। এতে প্রতিনিয়ত বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
ধুনটমোড় এলাকায় এক পথচারী বলেন, “প্রতিদিনই এই সড়ক দিয়ে চলাচল করি, কিন্তু কখনও মনে হয় না নিরাপদে বাড়ি ফিরব। উল্টোপথে গাড়ি আসলে তা আমাদের জন্য খুবই বিপজ্জনক। আমাদের রাস্তা পার হওয়ার সময় গাড়ি দ্রুত চলে আসে, এবং তা খুব সহজেই দুর্ঘটনায় পরিণত হতে পারে।”
শেরপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল ইসলাম জানান, এ ধরনের চলাচল সড়ক নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা নিয়মিতভাবে সড়ক মনিটরিং এবং অভিযান চালাচ্ছি। যদি কেউ উল্টোপথে গাড়ি চালান, তা হলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করি এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, সড়কে চালকদের প্রশিক্ষণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। আমরা শেরপুরের মহাসড়কে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি এবং আশা করছি, শীঘ্রই পরিস্থিতি উন্নতি হবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১২ই মার্চ) দুপুরে আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক যানজটমুক্ত ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় হাইওয়ে পুলিশ সুপার (বগুড়া রিজিয়ন) শহিদ উল্ল্যাহ বলেন, মহাসড়ক যানজটমুক্ত ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। এজন্য আমরা কাজও করছি। আসন্ন ঈদুল ফিতরে যাত্রী ভোগান্তি রোধ করে ঈদ নিবিঘ্ন করতে হাইওয়ে পুলিশ যেসব নিরলস পরিশ্রম করবে, তেমনি বাসের চালক, হেলপার, হোটেলসমূহের মালিকদেরও কার্যকর ভুমিকা পালন করতে হবে।