1. dailybogratimes@gmail.com : admin :
ঈদ বাজারঃ বেনাপোলে দর্জি কারিগরদের ব্যস্ততা, ছিট কাপড়ের দোকানে ভীড় - Daily Bogra Times
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম

ঈদ বাজারঃ বেনাপোলে দর্জি কারিগরদের ব্যস্ততা, ছিট কাপড়ের দোকানে ভীড়

মনির হোসেন, যশোর প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময়ঃ শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫
  • ৫ Time View
ঈদ বাজার বেনাপোলে দর্জি কারিগরদের ব্যস্ততা, ছিট কাপড়ের দোকানে ভীড়
print news

মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি:- ঈদকে সামনে রেখে ছিট কাপড়ের দোকানে বেজায় ভীড়। অন্যদিকে দর্জি কারিগরদের ব্যস্ততা চরমে। দিন-রাত সেলাই মেশিনের শব্দে চারিদিক মুখরিত। যেন দম ফেলার সময় নেই দর্জি কারিগরদের। সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে দর্জি কারিগররা। টেইলার্স মালিকরা জানান, বর্তমানে ছিটকাপড়ের দোকানীদের ব্যস্ততা চরমে। ক্রেতারা পছন্দের কাপড় কিনে দর্জির দোকানে ছুটছেন। তাছাড়া বেশিরভাগ দর্জি কারখানাগুলোতে অতিরিক্ত কারিগর নিয়োগ দেয়া হয়েছে যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পোশাক ডেলিভারি দেয়া যায়। 

সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, ছিট কাপড়ের পাশাপাশি টেইলার্সে পোশাক তৈরির মজুরিও বেড়েছে। গতকাল যশোরের বেনাপোল

বাজারে ছিট কাপড় ও দর্জির দোকানগুলোতে তরুণী ও বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। ঈদে ধনী-গরিব, নারী-পুরুষ ছোট বড় সকলে নতুন জামা কাপড় পরিধান করে থাকে। আর পছন্দের পোশাক বানাতে দর্জির দোকানগুলোতে ভীড় শুরু করে দিয়েছেন

 সৌখিন পোশাক গ্রাহকরা, কেননা বাজারে বাহারী পোশাক থাকলেও মানানসই হয় না আর মাপেও ঠিকমত হয় না। ১০ রমজানের এসে মহাব্যস্ত হয়ে উঠেছে দর্জি কারিগররা। বিশেষ করে ২০ রোজায় পোশাকের অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দেবেন বলে জানান টেইলার্স মালিকরা। বিরতিহীন সেলাই মেশিনের যান্ত্রিক শব্দ বলছে, দম ফেলার ফুরসত নেই কারিগরদের। আর এ ব্যস্ততা চলবে চাঁদরাত পর্যন্ত। হিরা সুপার মার্কেট সাইদুর  টেইলার্সের প্রোপাইটর মো,সাইদুর রহমান বলেন, ঘরভাড়া, বিদ্যুৎ ও শ্রমিক খরচের পাশাপাশি অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় মজুরি বাড়াতে বাধ্য হতে হচ্ছে। তাছাড়া সমিতির বেধে দেয়া মজুরি নিচ্ছি। বেনাপোল লাল মিয়া সুপার মার্কেট  ছিট কাপড়ের দোকান বাবু  টেইলার্স  বিক্রয় কর্মী আলী হোসেন বলেন, বেচাকেনা ভোলো। তবে, প্রতিটি গজ কাপড়ের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। মনির টেইলার্স বিক্রয় কর্মী বাবুও একই কথা বলেন। তিনি জানান, বিদেশি শার্ট-প্যান্টের পিসে গজ প্রতি ৫০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়ছে। পায়জামা-পাঞ্জাবির কাপড়ের গজ প্রতি প্রকার ও মানভেদে বেড়েছে ৫০ থেকে ২০০ টাকা। অন্যান্য পোশাকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রায় ১০০ টাকা করে বেড়েছে মজুরি। ডিজাইনের উপর নির্ভর করে নেয়া হচ্ছে মজুরী। মেয়েরা যেমন নিত্যনতুন বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক বানাতে আসছেন, তেমনি ঈদের সময় শার্ট-প্যান্টের চেয়ে ছেলেদের বেশি আগ্রহ পাঞ্জাবিতে। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির আঁচ লেগেছে দর্জিবাড়িতেও। যেখানে উত্তাপ ছড়াচ্ছে মজুরি। প্যান্টের মজুরি  সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪৫০ টাকা, শার্ট ৩ থেকে ৪শ’ টাকা এবং পাজামা ২৫০ থেকে সাড়ে ৩শ টাকা, পাঞ্জাবি ২৫০ থেকে সাড়ে ৪ শ’ টাকা। মেয়েদের  সালোয়ার কামিজ (সুতি) ৩শ’ সিনথেটিক সাড়ে ৩শ’ থেকে ৬ শ’ , ব্লাউজ ১৫০, ব্লাউজ (ডাবল) ৪শ’, পেটিকোট ১শ’, গাউন ৩ থেকে সাড়ে ৪শ’, বোরকা সাড়ে ৩ থেকে ৩৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। মেয়েদের ছিট কাপড়ের মধ্যে সুতি ৮০ থেকে ১৫০ টাকা গজ, লিলেন ১শ’ থেকে ১৮০ টাকা গজ, জয়পুরী কটন ১৮০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা গজ,  টিসু কাপড় ১৮০ থেকে ৩০০ টাকা গজ, মসলিন ২ থেকে ৩শ’, টিসু প্রিন্ট ১৮০ থেকে ৩শ’, নেট কাপড় ৪শ’ থেকে ৩ হাজার, টিসুর ওপর কাজ ৩ থেকে ৮শ’ টাকা গজ।  তরুনীরা কাপড়ের সঙ্গে মিলিয়ে লেইস-ফিতা নিয়ে পোশাক কারিগরদের কাছে ছুটছেন। তাই ঈদকে সামনে রেখে ভিড় বাড়ছে লেইস-ফিতার দোকানগুলোতে।

একটু ভিন্ন আঙ্গিকে পোশাক বানাতে লেইসের জুড়ি নেই। ঈদকে সামনে রেখে তাই রং বেরঙের, নানা ডিজাইনের লেইসে দোকানগুলো এখন ভরপুর। ডিজাইন বেদে লেইসের দাম ২০ থেকে ২শ’ টাকা গজ।

শেয়ার করুন

আরো খবর দেখুন
© All rights reserved © Daily Bogra Times/2025
Theme Customized BY LatestNews