ঈদ সজ্জায় অন্যতম অনুষঙ্গ জুতসই জুতা। আর পছন্দময় দর্জির দোকানে বানিয়ে নেয়া পোষাক। তাই ঈদের শেষ সময়ে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে জুতার দোকানে ও দর্জির পাড়ায়। প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে বগুড়ার আদমদীঘিতে পছন্দের জুতার বাজার আর দর্জির দোকানে।
ঈদের আর ২/৩ দিন বাকি। তাই ঈদ উপলক্ষে শেষ সময়ের কেনাকাটা সারতে উপজেলার শপিং মল ও মার্কেটে ছুটছেন ক্রেতারা টেইলার্সে অর্ডার দেওয়া পছন্দের জামা, জুতার মার্কেটে। পিছিয়ে নেই শিশুরা। বাবা-মায়ের হাত ধরে তারাও আসছে দোকানে। উৎসব আয়োজনে পোষাকের পর সবচেয়ে বেশি চাহিদা জুতা-সান্ডেলের। জুতা ছাড়া ঈদের কেনাকাটাই যেন অপূর্ন। ঈদের আগে তাই উপজেলার মার্কেটগুলিতে তাই পোষাকের সঙ্গে মিল রেখে জুতা-স্যান্ডেল কিনতে ভিড় বেড়েছে দোকানগুলিতে। পছন্দময় জুতা-স্যান্ডেল কিনে নিচ্ছেন বিভিন্ন বয়সের ক্রেতারা।
আজ (১৯ এপ্রিল ) বুধবার উপজেলার আদমদীঘি,নশরৎপুর, সান্তাহারের বিপনী বিতানে ঈদ বাজার ঘুরে দেখা যায়, অনেক ক্রেতা ব্যস্ত অর্ডার দেওয়া পোষাক দর্জির দোকান থেকে নিতে এবং অনেক ক্রেতা ভিড় করছেন জুতার দোকানে। দেখা গেছে, নারীদের হিল, সু, ¯িøপারের পাশাপাশি বাজারে দেখা মিলছে নতুন ডিজাইনের হিল। পুরুষদের জন্য রয়েছে হাফ সু, নানা ডিজাইনের ও নানা মূল্যের স্যান্ডেল, লোফারসহ নানা স্টাইলের জুতা। এ ছাড়া ব্যন্ডের বাটা,অ্যপে´,লেটো জুতাও কিনছেন ক্রেতারা। চামড়ার স্যান্ডের দাম ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা, সাধারন স্যান্ডের মুল্যে ১৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
উপজেলার সান্তাহার শফিকুল সু ষ্টোরে কথা হয় আদমদীঘি সদর থেকে আসা ক্রেতা সোহেলি আক্তারের সাথে। তিনি জানান, ঈদ কেনাকাটায় পোষাকের পরেই জুতার স্থান। তাই পরিবারকে সাথে নিয়ে জুতা কিনলাম। প্রচন্ড গরম। তারাপরও ঈদ বলে কথা। কষ্ট তো একটু হবেই।
সান্তাহার অবিলুপ্ত মালা সিনেমা হল সংলগ্ন কয়েকটি জুতার দোকান। এখানে প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে ক্রেতার তাদের পছন্দময় জুতা-স্যান্ডেল কিনছেন। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে শহরে বেশ কয়েকটি ভ্রাম্যমান জুতা-স্যান্ডেলের দোকান থেকেও ক্রেতারা জুতা-স্যান্ডেল কিনছেন। এ ছাড়া ফুটপাতের জুতা-স্যান্ডেলের দোকানেও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়।
সান্তাহার অনার্স টোইলাসের সত্বাধিকারী মোঃ ফারুক জানান, করোনার পর গত এবং এবার রেকর্ড পরিমানে পোষাকের অর্ডার পেয়েছি। অনেক আগেই পোষাকের অর্ডার নেওয়া বন্ধ করেছি। এখন চলছে কাপড়ের ডেলিভারি দেওয়া।