পূজায় জয়কে নিয়ে আনন্দ করব- অপু বিশ্বাস
শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে। গত বছর তো কলকাতায় কাটিয়েছেন। এবার পূজায় কী পরিকল্পনা?
এবার ঢাকায় থাকব। অষ্টমীর দিন অঞ্জলি দেব। পূজা ট্র্যাডিশনাল একটি বিষয়। সাজপোশাকে তাই ট্র্যাডিশনাল লুকটা আনতে চাই। গোল্ড দিয়ে আমাদের প্রতিমার আদলে ডিজাইন করার কথা ভাবছি। অষ্টমীর দিন সেটা পরব। পূজার বিকেলগুলো পরিবারের সঙ্গে কাটাব। জয়কে নিয়ে এবার অনেক আনন্দ করব। ওকে নিয়েই এবারের সব পরিকল্পনা। পূজায় পরিবারের সদস্যদের সুন্দর সুন্দর উপহার দিয়েছি। আমি নিজেও পূজার উপহার পেয়েছি।
ছোটবেলায় পূজা নিয়ে নিশ্চয় অনেক পরিকল্পনা থাকত?
ছোটবেলার পূজা তো অনেক গর্জিয়াস ছিল, অনেক পরিকল্পনা থাকত, অনেক আনন্দ থাকত। সারা বছর অপেক্ষায় থাকতাম কখন পূজা আসবে। এখনকার পূজার সঙ্গে সেই সময়ের তুলনা চলে না। এখন সব দিন একই রকম হয়ে গেছে। পেশাগত ব্যস্ততা আর পূজার ব্যস্ততা মিলেমিশে এক হয়ে গেছে !
সম্প্রতি আপনার অভিনীত ‘ছায়াবৃক্ষ’ সিনেমাটি সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে। কেমন হয়েছে সিনেমাটা?
চা- শ্রমিকদের জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ছায়াবৃক্ষ। সরকারি অনুদানের সিনেমাটি বানিয়েছেন বন্ধন বিশ্বাস। আমার বিপরীতে আছেন নিরব। গল্পনির্ভর একটি সিনেমা। এত দিন দর্শক আমাকে গ্লামারার্স লুকে দেখেছে। এবার দেখবে ভিন্ন লুকে। সিনেমাটি নিয়ে অনেক প্রত্যাশা আমার। পূজাতেই মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সিনেমা হলের সংকটের কারণে সম্ভব হয়নি। হলের সংকট আমাদের ইন্ডাস্ট্রির বড় একটি সমস্যা।
এ সিনেমায় কালো মেকআপ কেন নিয়েছেন?
সাধারণত অভিনয়শিল্পীদের মেকআপ করা হলেও এ সিনেমায় চরিত্রের প্রয়োজনে মুখে কালো রং ব্যবহার করে মেক ডাউন করা হয়েছে। চরিত্রের মতো করে নিজেকে তৈরি করতে হয়েছে। চরিত্রটিকে ধারণ করার জন্য আমার ওজন কমাতে হয়েছিল অনেকখানি।
শুটিং অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
পুরো শুটিং হয়েছে চা-বাগানে। কাজের অভিজ্ঞতা অনেক ভালো। সবাই খুব আনন্দ নিয়ে কাজটি শেষ করেছি। শুটিংয়ের একটি মজার স্মৃতি আছে। একদিন চা খেতে চাইলে লবণ দিয়ে চা দিয়েছিল। মুখে দেওয়ার পর তো আমি থ হয়ে গেলাম। বুঝতে পারছিলাম না লবণ দিয়ে কেন চা দেওয়া হয়েছে। পরে জানতে পারলাম চা-বাগানের শ্রমিকেরা লবণ দিয়েই চা খায়। এ সিনেমা করতে গিয়ে চা-শ্রমিকদের আরও অনেক অজানা তথ্য জেনেছি।
‘লাল শাড়ি’ দিয়ে এ বছর প্রযোজক হিসেবে অভিষেক হলো। প্রযোজনা নিয়ে কী পরিকল্পনা করছেন?
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েই প্রযোজনায় এসেছি। প্রথম সিনেমায় সবার অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। তাই, সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আশা করছি আগামী বছর নতুন সিনেমার খবর জানাতে পারব।
চলতি বছরও সিনেমা নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হচ্ছে। হলে দর্শক ফিরছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
সিনেমা হলে দর্শক ফেরা ইন্ডাস্ট্রির জন্য সুখবর। সিনেমার যেকোনো ইতিবাচক আলোচনা আমাকে আনন্দ দেয়। সারা বছর সিনেমা নিয়ে আলোচনা হবে, দর্শক হলে গিয়ে সিনেমা দেখবে, এটাই তো আমরা চাই।
বড় পর্দার পাশাপাশি ওটিটিতে কাজ করলেন। এ মাধ্যমে নিয়মিত দেখা যাবে কি?
সৈয়দ শাকিলের ওয়েব ফিল্ম ‘ছায়াবাজি’তে অভিনয় করেছি। ভালোই সাড়া পেয়েছি। সবাই পছন্দ করেছে কাজটি। ওটিটিতে নতুন কয়েকটি কাজ নিয়ে কথাবার্তা চলছে। আশা করছি শিগগির আবারও ওটিটিতে দেখা যাবে।
সম্প্রতি যেখানেই যাচ্ছেন, আপনাকে দেখতে দর্শকের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। তাঁদের এ ভালোবাসা কতটা উপভোগ করেন?
ভীষণ উপভোগ করি। তাঁদের এই ভালোবাসা বর্ণনা করার ভাষা আমার জানা নেই। এটাই আমার প্রাপ্তি। আমার প্রতি তাঁদের এই ভালোবাসা সব সময় থাকুক, এটাই চাই।