বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় কাবিল উদ্দিন (৩৩) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরকীয়া প্রেমের যোগসূত্র পেয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. গোলাম আজমকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নিহত ইলেকট্রিক মিস্ত্রি কাবিল উদ্দিনের প্রতিবেশী মো. সাইফুল ইসলামের পুত্রবধূ সুমাইয়া খাতুনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের জেরেই ক্ষুব্ধ হন সাইফুল ও তার পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ এপ্রিল মধ্যরাতে রাতে সুমাইয়া খাতুনের মাধ্যমে কাবিল উদ্দিনকে ডেকে হাটগাড়ি তালপট্টি গ্রামে সুমাইয়ার বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা বেশ কয়েকজন মিলে কাবিল উদ্দিনের ওপর নৃশংস হামলা চালায়। লাঠি, রড ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে তাকে গুরুতর আহত করা হয়। এরপর তাকে ইউক্যালিপটাস বাগানে নিয়ে গিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে আবারও নির্যাতন করা হয়। ঘটনাস্থলেই কাবিল উদ্দিনের মৃত্যু হয়।
পরবর্তীতে আসামিরাই মরদেহটি শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এবং পরিবারের সদস্যরা পৌঁছানোর আগেই পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় নিহত কাবিল উদ্দিনের বাবা ১৩ জনকে আসামি করে শেরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত গোলাম আজমকে গ্রেপ্তার করে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শফিকুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।