মোঃ নাফিউল ইসলাম, গোবিন্দগঞ্জ গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ রংপুর চিনিকল বন্ধ থাকলেও গোবিন্দগঞ্জে নতুন করে বেড়েছে আখের চাষ।
বন্যা সহিষ্ণু দীর্ঘ মেয়াদী এ ফসল চাষে ব্যয় ও রোগবালাই কম হওয়ায় আগ্রহী হচ্ছেন কৃষক। রংপুর চিনিকল বন্ধ থাকায় উৎপাদিত আখ স্থানীয়ভাবে গুড় প্রস্তত করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। তবে বন্ধ রংপুর চিনিকলটি পুনঃরায় চালুর দাবি এলাকার কৃষকদের। এলাকার আখ চাষিরা জানান, আগে থেকেই আখ চাষ হলেও চিনিকলের স্থাপনের পর এলাকায় আখের চাষ বেড়ে যায়। এই চিনিকলকে কেন্দ্র করে জেলার কৃষকরা তাদের জমিতে আখের আবাদ শুরু করেন। সরকারি সিদ্ধান্তে আধুনিকরণের নামে হঠাৎ করে কয়েক বছর আগে চিনিকলটি বন্ধ করা হলে আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে থাকেন এ এলাকার চাষিরা। তবে এবছর আবারও নতুন করে আখের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকরা বলছেন, আখ আবাদে রোগবালাই ও উৎপাদন ব্যয় কম। এছাড়াও বন্যাপ্রবণ এলাকায় বন্যার হাত থেকে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির শংকায় আখ চাষকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন স্হানীয় কৃষকরা।
উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের গোশাইপুর গ্রামের সোহরাব হোসেন, তবিবুর রহমান, বেজাউল করিম বলেন বর্তমানে আখ চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান তারা। এক বিঘা জমিতে আখ আবাদে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা ব্যয় হলেও আখ বিক্রি করে আয় হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এবার জেলায় প্রায় ৭শ’ হেক্টর জমিতে আখের আবাদ করা হয়েছে। এছাড়াও গোবিন্দগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ৭৭ হেক্টর জমিতে চুইন ভ্যারাইটি জাতের আখের চাষ হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ বলেন, আখ দীর্ঘমেয়াদী ফসল হলেও এখন এটি একটি লাভজনক ফসল। এলাকার কৃষকদের আখের মধ্যে সাথি ফসল চাষে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়াতে কৃষদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিচ্ছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।