বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের চণ্ডীজন গ্রামে করতোয়া নদীর তীরে শ্মশানঘাট সংলগ্ন জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া এক অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় অবশেষে শনাক্ত করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন স্থানীয় বাসিন্দা অমল চন্দ্র দাস (৫২), দেবেন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে। তার বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে শেরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পচা-গলা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে। মৃত ব্যক্তির পরনে ছিল একটি চেক লুঙ্গি, এবং শরীরে কোনো দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে, মুখ আগুনে ঝলসানো থাকায় প্রাথমিকভাবে পরিচয় শনাক্ত করা কঠিন ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত দুই দিন ধরে ওই এলাকায় তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। শুক্রবার দুপুরে মাজেদা খাতুন নামে এক নারী ছাগল চরাতে গিয়ে জঙ্গলে লাশটি দেখতে পান এবং স্থানীয়দের জানান। এরপর পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম বলেন, মুখ পোড়ানোর কারণে পরিচয় নির্ধারণে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে সিরাজগঞ্জ সিআইডির টিম আঙুলের ছাপ জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভারের সঙ্গে মিলিয়ে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করেছে। তিনি আরও জানান, অমল গত মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
পরিবারের বরাতে জানা গেছে, এর আগেও তিনি নিখোঁজ হয়ে ফিরে এসেছিলেন, তাই পরিবার থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরি করেনি।
পরিচয় শনাক্তে বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের সিআইডি এবং বগুড়া পিবিআইয়ের টিম কাজ শুরু করে। শুক্রবার বিকেলে বগুড়ার টিম প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করলেও, সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ সিআইডি আঙুলের ছাপ বিশ্লেষণের মাধ্যমে অমল চন্দ্র দাসের পরিচয় নিশ্চিত করে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ উদঘাটন এবং আইনগত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।