বগুড়ার শিবগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ২ নারী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একনারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এঘটনায় থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা দায়েরের পর একজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের পলাশি গ্রামে এঘটনা ঘটে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, গত শনিবার সকালে পলাশি গুচ্ছ গ্রামে আব্দুর রহমান(৪) ও ফাহিম(৪) নামের দুই শিশুর মধ্যে ঝগড়া হয়। এসময় শিশু আব্দুর রহমানের মা রুপা বেগম ছেলের কান্না শুনে এগিয়ে আসলে ফাহিমের বাবা মজনু মিয়ার (৩৫) সাথে কথাকাটাকাটি হয়।/ এসময় মজনু ও তার স্ত্রী ফেরোজাসহ বেশ কয়েকজন রুপা বেগমের মাথায় লাঠি ও গাছের ডাল দিয়ে আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে ফেরোজা বেগম রুপার ঠোটে কামড় দিয়ে শরীর থেকে ঠোট আলাদা করে অঙ্গহানী ঘটায়। পরে রুপার মা বেবি খাতুন মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও মারপিট করা হয়। পরে স্থানীয়রা আহত রুপা ও তার মা বেবি খাতুনকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে, রুপা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে শনিবার রাত ১০ টায় থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন রুপা বেগমের বাবা আঃ মাজেদ।
রোববার ৩০ এপ্রিল, বিকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর বেলাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর প্রধান আসামী মজনু মিয়াকে আটক করা হয়েছে। /বাকি আসামীদের আটকে অভিযান অব্যাহত আছে।