মোস্তাফিজার রহমান জাহাঙ্গীরফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি:শীতকালীন ফসলের মধ্যে অন্যতম অর্থকরী সবজি হল গাজর ও শিম। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গাজর ও শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় গাজর ও শিম চাষীদের মুখে ফুটেছে হাসি। সেই সঙ্গে, দেশের বাজারে গাজরের ব্যাপক চাহিদা আর ভাল দাম পাওয়ায় গাজর চাষে আগ্রহ বাড়ছে অন্য চাষিদের। এখানকার শিম গাজরের ভালো স্বাদ হওয়ায় চাহিদাও প্রচুর। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফুলবাড়ী বলছে কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদের গাজর ও শিম চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করা সহ বিভিন্ন প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে।
ফুলবাড়ী ইউনিয়নের পাঠানটারী গ্রামের গাজর চাষী ফজলুর করিম জানান, আমি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রকার তাল খেত করে থাকি, এবারে কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রদর্শনীর মাধ্যমে ২০ শতাংশ জমিতে জাপানি মিরাকেল জাতের গাজর চাষ করেছি ,কৃষি অফিস থেকে সার ও কীটনাশকসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন, ৮ হাজার টাকা খরচ করে এ পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি আরো ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারব বলে আশাবাদী।
অপরদিকে একই ইউনিয়নের বিদ্যাবাগীশ এলাকার কৃষক সঞ্জিত কুমার জানান, আমার একটি জমিতে তেমন কোন আবাদ হতো না, এবারে কৃষি অফিসের পরামর্শে কৃষি প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমি হাতিকানি জাতের সিম চাষ করি, ১০ হাজার টাকার খরচ করে আমি ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি, একবার তুলে বিক্রি করেছি আরো নতুন করে ফুল এসেছে আরো ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন জানান, ফুলবাড়ী উপজেলার ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ করা হয়েছে,কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদের গাজর ও শিম চাষাবাদ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছে। ফুলবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের সবসময় বিভিন্ন প্রকার সহযোগিতা সহ পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।